৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১১:০৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানব পাচারের শিকার সারভাইভারদের যথাযথভাবে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের মাধ্যমে অনেকাংশেই পুনরায় পাচার হওয়ার ঝঁুকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সকল gসরকারী এবং বেসরকারীপ্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় জনগণকেও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসাথে কাজ করতে হবে। আর এই নির্দেশিকা ব্যবহারের মাধ্যমে পাচারের শিকার নাড়ী,পুরুষ ও শিশুদের যথাযথ সুরক্ষা সেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজে সম্মানজনকপুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিতকরবে।’
‘মানব পাচার সারভাইভার সেবা নির্দেশিকা: চিহ্নিতকরণ থেকে পুনঃএকত্রীকরণ’ মোড়ক উম্মোচন অুনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড: আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল এ কথাবলেন। তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবীতে মানব পাচার একটি বড় অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। যা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ ও দিন দিন বেড়েই চলেছে।সমাজ সেবা অধিদপ্তর পাচারের শিকার ব্যক্তিদের আশ্রয় সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষা সেবা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। তিনি এই নির্দেশিকাটি প্রণয়নে সমাজ সেবা অধিদফতকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করায় ইউএসএআইডি ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সম্মূখ সারিতে কর্মরত ব্যক্তিদের এই নির্দেশিকা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুরক্ষা সেবানিশ্চিতকরা সম্ভব হবে।
৩ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে উইন্রক ইন্টারন্যাশনাল বাস্তবায়িত‘ ফাইট স্লেভারী অ্যান্ড ট্রাফিকিং—ইন—পারসনস্ (এফএসটিআইপি) অ্যাকটিভিটি’র কারিগরি সহযোগিতায় সমাজ সেবা অধিদপ্তর আয়োজিত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি’র অফিস অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস্ ও গর্ভণনেন্স—এর টীম লীড হাবিবা আখতার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাপরিচালক ড. মো: বাশিরুল আলম।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএসটিআইপি অ্যাকটিভিটির ভারপ্রাপ্ত চীফ অব পার্টি সুসান স্টেম্পার। তিনি মানব পাচারসার ভাইভার সেবা নির্দেশিকা ’প্রণয়নের পটভূমি উপস্থাপনকরেন।
মানব পাচারসারভাইভার সেবানির্দেশিকা: চিহ্নিতকরণ থেকে পুনঃএকত্রীকরণ বিষয়েএকটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রটেকশন ম্যানেজার মো: নজরুলইসলামদিপ্ত।
অন্যান্য অতিথিগণতাদের বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনে আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ এর ফলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক ট্রাফিকিং —ইন—পারসন্সরিপোর্ট ২০২০ হতে ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ পরপর ৩য় বারের মত টিয়ার ২ তে অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয়। সকলে ইইউএসএআইডি ও উইনরককে কারিগরি সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশ সরকার কে মানব পাচার প্রতিরোধের পাশাপাশি পাচারের শিকার নারী, পুরুষ ও শিশুদেরসুরক্ষা সেবা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করছে। এর ফলে মানব পাচারের ঘটনা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনধি, ইউএসএআইডি’রকর্মকর্তা,জাতিসংঘপ্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিও প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply