1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : Admin ID : Admin ID
  3. uch.khalil@gmail.com : Md. Ibrahim Khalil Molla : Md. Ibrahim Khalil Molla
  4. masud@dailysobujbangladesh.com : Md. Masud : Md. Masud
রুট পারমিট বাণিজ্য: অবৈধ সম্পদ অর্জন বিআইডব্লিটিএ’র নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুলের দুর্নীতিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিকরা অতিষ্ঠ! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৬:৩২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
পিতা ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ছেলে রাসেল ও তার পরিবার নাজরানের প্রতারণার শেষ কোথায়? কাজী সাইফুরের প্রতিষ্ঠান-স্বজনদের আছে ৩ কোটি ১৫লক্ষ অবৈধ প্লেসমেন্ট শেয়ার মহাসড়কে ডিবি পরিচয়ে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে প্রাইভেটকারে তুলে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ৩ হোমনায় বৃক্ষরোপণ ও ব্লাড গ্রুপিং প্রোগ্রাম এর শুভ উদ্বোধন জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়েদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছেন ……..নাজমুল হাসান চাঁদের হাটের আজকের সোনামনিরা আগামীদিনের শেখ হাসিনা হবে- খালেদ মাহমুদ চৌধুরী মেয়াদ উত্তীর্ণের পর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আত্মপ্রকাশ! অনিয়মে জর্জরিত ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরীমনি পঞ্চম স্বামীকে তালাক দিলেন
রুট পারমিট বাণিজ্য: অবৈধ সম্পদ অর্জন বিআইডব্লিটিএ’র নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুলের দুর্নীতিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিকরা অতিষ্ঠ!

রুট পারমিট বাণিজ্য: অবৈধ সম্পদ অর্জন বিআইডব্লিটিএ’র নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুলের দুর্নীতিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিকরা অতিষ্ঠ!

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে যাত্রীবাহি লঞ্চ ( জাহাজ) ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। প্রতিটি ট্রিপেই লোকসান গুনেেত হচ্ছে যাত্রীবাহি লঞ্চ মালিকদের। তার ওপর আবার বিআইডব্লিটিএর নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক (নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগ) বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামের বেসামাল রুট বাণিজ্যে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন নৌযান মালিকরা। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। লঞ্চ মালিকদের অভিযোগ, যাত্রী কমে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। প্রতিটি ট্রিপেই লোকসান হচ্ছে। কর্মচারিদের বেতন ও ব্যাংক লোনের কিস্তি দিতে পারছেন না তারা। তারওপর রুট পারমিট নিয়ে বিআইডব্লিটিএর নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক (নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগ) বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামের অনৈতিক দাবী মেটাতে গিয়ে তারা দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।
সুত্র মতে ঢাকা বরিশালগামী প্রতিটি লঞ্চের রুট পারমিটে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকাঘুস দিতে হচ্ছে। অন্যথায় রুট পারমিট দেওয়া হচ্ছে না। আবার অযথা নোটিশ জারি করেও লঞ্চ মালিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এক প্রকার নোটিশ বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছেন বিআইডব্লিটিএর নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক (নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগ) বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও তার অনুগত কর্মচারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লঞ্চ মালিকরা জানান,ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না বিআইডব্লিটিএর নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক (নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগ) বিভাগে। অসাধু কর্মকর্তারা নানা সমস্যা দেখিয়ে লঞ্চের রুট পারমিট আটকে রেখে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। গত এপ্রিল মাসে বিআইডব্লিটিএর বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা হওয়া দুটি অভিযোগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উভয় দপ্তরে জমা হওয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, নৌনিরাপত্তা ট্রাফিক (নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগ) বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম শুধু নৌ-প্রটোকলের জাহাজের ক্ষেত্রে নয়, লঞ্চ মালিকদের রুট পারমিট আটকে রেখেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কোনো জাহাজের রুট পারমিট আছে, কিন্তু কোনো কারণে জাহাজ মালিক নৌপরিবহন অধিদপ্তরের (ডিজি শিপিং) তত্ত্বাবধানে জাহাজ মেরামত শেষে আবার নির্ধারিত রুটে ফিরতে চাইলে রফিকুল ইসলাম রুট পারমিট আটকে দেন। একই রুটে নতুন করে চলাচলের অনুমতির জন্য তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। অথচ প্রতিটি রুটের যাত্রীসংখ্যা বিবেচনা করেই মালিক সমিতি এবং বিআইডব্লিউটিএর যৌথ সিদ্ধান্তে কোনো রুটে প্রতিদিন কতটি লঞ্চ চলবে তা নির্ধারণ করা হয়। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলাচলরত জাহাজগুলো একইভাবে নিয়মের ফাঁদে ফেলে একটি জাহাজ একমাস আটকে রেখে অন্য জাহাজকে এককভাবে চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হয়। এর ফলে পর্যটকদের অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে চলাচল করতে হচ্ছে।
এছাড়া রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর নামে এমভি পূবালী ও এমভি জামাল লঞ্চের পার্টানারশিপ তার রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই এসব কোম্পানির লঞ্চ যেমন ঢাকা-রাঙ্গাবালী, ঢাকা-কলাপাড়া (পায়রাবন্দর)সহ অনেক রুটে জামাল বা পূবালী কোম্পানির লঞ্চ এক সিরিয়ালে চলাচলের অনুমতির সুযোগ করে দেয়। যেমন ঢাকা-রাঙ্গাবালী প্রতিদিন দুটি লঞ্চ ও ঢাকা-পায়রাবন্দর বা কলাপাড়া প্রতিদিন দুটি লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। রফিকুল ইসলাম কৌশলে একই দিনে ঢাকা-রাঙ্গাবালী ও ঢাকা-কলাপাড়া রুটে তার শেয়ারের লঞ্চ জামাল বা পূবালী গ্রুপের যে কোনো একটি কোম্পানির লঞ্চ একই সিরিয়ালে চলাচলের সিস্টেম করে দেন। তিনি অনেক সময় লঞ্চ মালিক সমিতির সঙ্গে কথা না বলেই নিজের ইচ্ছামতো টাইমটেবল (সময়সূচি) নির্ধারণ করছেন।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অবৈধপথে আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্ওয়াগেছে। তিনি নামে বেনামে গাড়ী,বাড়ী প্লট ও একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌনিরাপত্তা ট্রাফিক (নৌ-নিট্রা ট্রাফিক বিভাগ) বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দুই দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। তাই অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। (চলবে)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »