1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলছে জার্মান আওয়ামীলীগ নেতা বাদলের জাভান হোটেলের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:২৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলছে জার্মান আওয়ামীলীগ নেতা বাদলের জাভান হোটেলের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা

অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলছে জার্মান আওয়ামীলীগ নেতা বাদলের জাভান হোটেলের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

গাজীপুর টংগীতে চার তারকা হোটেল নামেই বেশ পরিচিত ‘জাভান হোটেল’হোটেলটির মালিক শেখ বাদল আহাম্মদ,তিনি জার্মান বাদল নামেই বেশ পরিচিত,বর্তমান তিনি জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। শুধু তাই নয়,হোটেলটির মালিক শেখ বাদল পরিচয় দিতেন,তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহের মানুষ ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের খুব কাছের বন্ধু!!
অন্য দিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গেও ছিল শেখ বাদলের গভীর সম্পর্ক।বেশিরভাগ সয়মই থাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাথে।সেই শোভাতেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দাবী করতেন শেখ বাদল।নিজের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা ঠিক রাখতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুলনা-৩ আসনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে বাচাই পর্বে বাদ পড়েন তিনি। এই সব পদ পদবী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতার দাপটে চলতো শেখ বাদলের হোটেল ব্যবসার নামে অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা।

তবে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো:সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা।এ ছাড়াও দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা। দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমানবন্দরে আটক ও হয়েছেন অনেক প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা।

এরপর,ড. মুহাম্মদ ইউনূ‌সের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় দেশের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া সহ আইনের আওতায় আনা হচ্ছে দেশের বড় বড় অপরাধীদের।সেই আতংকেই কয়েকদিন বন্ধ ছিলো জাভান হোটেলের অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসার কার্যক্রম।

তবে এখন আবার নতুন করে কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে চলছে জাভান হোটেলের সকল অবৈধ কার্যক্রম। বর্তমান নেই,শেখ বাদলের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছত্রছায়া ও দলীয় ক্ষমতা তাহলে কে দিচ্ছে অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসার শেল্টার?
অন্য দিকে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা!

দৈনিক সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে দেখা যায়,আবার শুরু হয়েছে হোটেলটির সকল অবৈধ কার্যক্রম।মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা,আরো দেখা যায়,সন্ধ্যা হলেই শুরু হয়ে যায় মদপান ও জুয়ার আসর,সেই সাথে নিত্যদিন থাকছে স্কুল,কলেজ,পড়ুয়া ৮০/৯০ জন তরুণী মেয়ে,তাদের দিয়েই চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। আরো দেখা যায়, তরুণ,তরুণীরা মদ সেবন করে বাংলা ও হিন্দি গানের তালে তালে ডিজে পার্টি নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য সেই অশ্লীল নৃত্য দেখে তরুণরা ডিজে পার্টির মঞ্চে উঠে ১০০/৫০০/১০০০ টাকার নোটের বান্ডিল ছিটিয়ে দিচ্ছে। আরো রয়েছে,আলাদা করে জুয়া খেলার ব্যবস্থা।জুয়ার আসরে দেখা যায়,লক্ষ লক্ষ টাকা উড়ানোর খেলা।নষ্ট হতে যাচ্ছে এলাকার যুবসমাজ ও স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা। এখানে ভাড়ার বিনিময়ে পাওয়া যায় সিঙ্গেল রুমসহ সুন্দরী মেয়ে এবং দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের মদ ।যদিও এর আগে একবার পুলিশ ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অবৈধ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদের বোতল। ২/৪ দিন যেতে,না যেতেই আবার নতুন শুরু হয় মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা।

সাম্প্রতিক দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা কবলিত কারনে সারাদেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আতংক। তবুও থেমে নেই এই জাভান হোটেলের মদ,জুয়া,ও দেহ ব্যবসা।

দেখা যায়,চার তারকা আদলে দশ তলা বিশিষ্ট সৌন্দর্যময় এই হোটেল রয়েছে চার ধরনের আবাসন যেমন,ডিলাক্স,সুপিরিয়র, সুইট রুম,ফ্যামিলি সুইট রুম।এই হোটেলটিতে রয়েছে মোট ৬৬ টি রুম তাছাড়াও রয়েছে বিশাল একটি কনফারেন্স হল,একটি বিজনেস সেন্টার,স্পা ও ডান্স,ডেলটা ক্যাফে,বিউটি সেলুন,কানকোন র‍্যায়েল রেস্টুরেন্টে,ওভার ফ্রেস ক্লাব, সুইমিং পুলসহ নানান ধরনের বিনোদন। তবে বিনোদনের নামে চলছে অনৈতিক ব্যবসা,আরো জানা যায়, ‘জাভান হোটেল’এর মালিক শেখ বাদল আহমেদ ওরফে জার্মান বাদল এর জার্মানেও রয়েছে জাভান হোটেলের মত অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে,বাংলাদেশের কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের ভালো চাকরির প্রণবল দেখিয়ে জার্মান নিয়ে বাধ্য করে দেহ ব্যবসা করতে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে শেখ বাদলের বিরুদ্ধে।

এই বিষয়ে হোটেল মালিক শেখ বাদল আহম্মেদ কে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

এই বিষয়ে,স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা হলে,তারা জানান,এভাবে যদি জাভান হোটেল চলতে থাকে তাহলে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে।সর্বশেষ স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গ এই অবৈধ মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা চলা জাভান হোটেলটি বন্ধের দাবী জানায়।

এই বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ দক্ষিণের সাথে যোগাযোগ করা জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »