১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:৩৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
আতিকুজ্জামান – বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শার নাভারণ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিলের পদত্যাগের দাবিতে কলেজ প্রঙ্গণ ও মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম সময় বেধে দেন শিক্ষার্থিরা।
বুধবার (২১ আগষ্ট)সকাল ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গন ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসুচী পালন করে শিক্ষার্থিরা।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দূর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনৈতিক কোন ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনো দায়িত্ব পালন করতে পারে”না।
আমরা তার পদত্যাগ দাবী করেছি এবং তিনি পদত্যাগ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন এই কলেজে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা জন্য শিক্ষক,অফিস সহকারীসহ অধ্যাক্ষ ইব্রাহিম খলিলের সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘ যাবৎ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে স্বৈরাচার সরকারের দোসর বলে আখ্যা দেন।
জানাযায়,অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল ১৯৯৬ সালে সমাজ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসাবে যোগাদান করেন তৎকালীন আ.লীগের শাসনামলে। এরপরে ২০১২ সালে আলাউদ্দীনের চেরাগের ছোয়া পেয়ে বনে যান অধ্যক্ষ সিনিয়র শিক্ষকদের তাক লাগিয়ে এবং তিনি স্থানীয় আ.লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন সক্রিয়ভাবে ।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন। ব্যাপক ব্যবধানে পরাজিত হন অপর প্রার্থীর নিকট।স্থানীয় বিতর্কিত সাবেক সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিনের একান্ত আস্থাভাজন অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল ।যা বিধিমালার অনুযায়ী তার সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড আইনবহির্ভূত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
সচেতন মহল তার তুমুল সমালোচনা করে বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এভাবে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারে”না। শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর, আর সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন এধরণের এজেন্ডা তৈরী করা হয় তখন শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।ইব্রাহিম খলিলের শিক্ষার্থি বিরোধী অবস্থান ও অনিয়মের কারনে শিক্ষার্থিরা তার পদত্যাগ চাই।
Leave a Reply