১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:৫৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার॥
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান। অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকলেও ধরা ছোয়ার বাইরে তিনি। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি একই সংস্থার পরিচালক (হারবার) ছিলেন। চট্টগ্রাম বন্দরে যা ব্যতিক্রম । (একই ব্যক্তি ঘুরে ফিরে ফের আগের জায়গায় আসা)
বন্দর চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি মোংলা বন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার দূর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে খুলনার মেয়রের নেতৃত্বে মিছিল সমাবেশও হয়েছিলো।
বাবা ছিলেন নৌ বাহিনীর ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় বসবাস করতেন। নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান শাজাহান নেভী স্কুল এবং চট্টগ্রাম কলেজে লেখাপড়া করেন। তাদের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালি। ছাত্রজীবনে (৮৩ সালে) চট্টগ্রাম কলেজে পড়াকালীন সময়ে শিবিবের কট্টর সমর্থক ছিলেন। বন্ধু বান্ধব যারা ছাত্রলীগ করতো তাদের নিয়ে হাসি মশকরা করা সাজাহান এখন বড় আওয়ামীলীগার। এক সময়ে টানা পোড়নের সংসার ছিল তাদের। এখন তিনি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক।
চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হারবার) থাকাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম আত্মীয় স্বজনদের চাকুরি দিয়েছেন । চট্টগ্রাম বন্দরের মেম্বার (হার্বার) থাকাকালীন সময় কাটার মেশিন ক্রয় সংক্রান্ত দূর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। যার সাপ্লাইয়ার ছিলেন তারই ঘনিষ্ট এনএইচ খান। মেরিন ডিপার্টমেন্টে একচেটিয়া কাজ করেন এনএইচ খান। ক্যাপ্টেন ফরিদ তার কাজের জোগান দেয়। আগে টাকা তারপর কাজ এ ভিত্তিতে কাজ দেয় চেয়ারম্যান শাহজানের অনুগত ক্যাপ্টেন ফরিদ। এমএইচ খান, ক্যাপ্টের ফরিদ ছাড়াও চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টজন হলেন ঠিকাদার মাহহফুজুর রহমান লাদেন, চাদপুর বাড়ি, চট্টগ্রামের সাংসদ আফসারুল আমিনের ছোটভাই এরশাদুল আমিন, চট্টগ্রামের রামপুর এলাকার সেচ্ছসেবক লীগের নেতা পাপ্পু। বন্দর চেয়ারম্যান তার ভাতিজা বদরুলকে লালদিয়ার চরে ড্রেজিং এর কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির নাম এসএম ট্রেডিং। চট্টগ্রাম বন্দরে মেম্বার (হারবার) থাকাকালীন সময়ে ২০১৫-১৬ সালে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে ৩ টি জাহাজ আনা হয়। তা সাপ্লাই দেয় বন্দরের তৎকালীন চেয়ারম্যান নিজামের ভায়রা । চীন থেকে আনা জাহাজগুলো অলস বসে আছে। যার কোন আয় নেই তবে খরচ আছে। বলা যায়, বন্দরের জন্য এই জাহাজগুলি শ্বেতহস্তী। জাহাজগুলি পানগাঁও বন্দরের জন্য আনা হয়েছিলো বলে জানা যায়।
এছাড়া বোট সাপ্লাই না দিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় দুদকে মামলা হয়েছিলো। এতেও তার সম্পৃক্ততা ছিল বলে জানা যায়।
ছোট থেকে বড় যে কোন কাজ বন্দরের চেয়ারম্যান এর নির্দেশ ছাড়া হয়না। কথিত আছে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকাও ঘুষ নেন তিনি। মুখ খুললে সবার ব্যবসা বানিজ্যর ক্ষতি হবে তাই এ্ই ব্যাপারে একদম নীরব বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তথ্যসুত্র জানায় তার দেশের বাইরে টাকাগুলো পাচার করছে নোয়াখালীর এনএইচ খান আর চাদুপরের মাহাফুজুর রহমান লাদেন। এই দুই ঠিকাদার ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত। আরেকটি সুত্র বলছে, ঢাকার অনেক ব্যবসায়ী চট্টগ্রামে ওয়ার্ক অর্ডার লোকাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কাজটি নীরবে হচ্ছে দীর্ঘদিন। শোনা যায়, ———তারেক সিদ্দিকী এবং পিএম কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন সহ একটি চক্রের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হয়ে আসেন শাজাহান। এই ভয়ে নীরবেই সব হজম করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তরাও কোন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চায়না। (চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর, ঠিকাদার এবং সিবিএ নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্য)
Leave a Reply