১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:৫১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
পর্ব -১
এইচ এম হাকিম, নাটোর থেকে ফিরেঃ
নাটোর বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাকুরী সুবাদে কৃষি অফিস থেকে দুর্নীতি আত্মসাৎ এর মাধ্যমে হাতিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বড়াইগ্রাম কৃষি অফিসের এই মহিলা কর্মকর্তা এতটাই অর্থলোভী যে তার বিরুদ্ধে কয়েক দফা নিউজ হলেও কর্ত্বপক্ষকে ম্যানেজ করে কৃষি অফিসকে দুর্নীতির আখরায় পরিনত করে রেখেছেন।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার শারমিন সুলতানা সরকারি বরাদ্ধের প্রতিটি খাতেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অফিসের কর্মচারীদের দিয়ে কৃষি অফিসকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করছেন কৃষিবীদ শারমিন সুলতানা। কৃষকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বরাদ্ধ এনে তা প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করে তার পছন্দের লোকদের দেন। এতে প্রকৃত কৃষক এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।
উপজেলার কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর নামে কৃষকদের নামমাত্র নাস্তা ও সামান্য নগদ টাকা ধরিয়ে দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর ও টিপসই নিয়ে বিদায় করা হয় বলে স্বয়ং অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী কৃষকেরা। সরকারি কৃষি অফিসকে দুর্নীতির অভয় আশ্রম বানানো এ কর্মকর্তা বিষয়ে অনুসন্ধানে আরো জানা যায় , কৃষক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস, প্রদর্শনী, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বরাদ্ধসহ বিভিন্ন খাতের বরাদ্ধ সিংহভাগই লুটপাট হয়েছে । তারা কৃষকদের নিয়ে একটি মাঠ দিবসের অনুষ্ঠান করে ব্যানার টানিয়ে ছবি তুলেই বরাদ্ধের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এসব অভিযোগের সত্যতার খোঁজে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন সহ পার্শ্ববর্তি ইউনিয়ন গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় একটি প্রদর্শনীতে গত খরিপ-২ ( ২০২৩-২৪ ) মৌসুমের সময় চাষাবাদকৃত ব্লক প্রদর্শনীর রোপা আমন ধান প্রদর্শনীতে কৃষকদের জন্য যে বরাদ্দ আসে তা কৃষকদের না দিয়ে ভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করে ফেলে। বিভিন্ন এলাকার প্রদর্শনীতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকদের জন্য বরাদ্ধের চার ভাগের তিন ভাগই চলে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ শারমিন সুলতানার পকেটে। সরকারি বরাদ্ধের এক-চতুর্থাংশও কৃষকরা পাচ্ছেনা। অফিসের যন্ত্রপাতি (মেশিন) থেকে শুরু করে প্রতিটি খাত কৃষি কর্মকর্তার বাণিজ্যে পরিনত হয়েছে।
আরও অভিযোগ আছে, আওয়ামীলীগ সরকার আমলে তিনি তিন জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে বিএনপি, জামাত, শিবির বলে মিথ্যা তকমায় অভিযোগ এনে তাদের অন্য জেলায় বদলি করিয়ে দেন । এতে উপজেলা জুরে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও চলতি বছরের গত ২২ আগস্ট ছয় মাসের জন্য মাতৃকালীন ছুটিতে থাকলেও অফিসের অর্থনৈতিক কার্যক্রম তিনি নিজেই পরিচালনা করেন, নিয়ম অনুসারে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বরত সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাদী হাসান কে সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হলেও অর্থনৈতিক বিষয়টি নিজেই ভাড়া বাড়ি থেকে দেখভাল করেন, যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।
শুধু তাই নয়, বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া তথ্য ও ভিডিও র মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে অফিস চলাকালীন সময়ে নিজ দায়িত্ব ভুলে গিয়ে অফিস কক্ষেই মদ্যপান করে নাচানাচি করছেন তিনি। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন সহ অফিসের ২/১ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে নিয়ে নাচানাচি করছেন দুর্নীতিগ্রস্ত কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা।
আওয়ামী লীগের দোষর বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকরতা শারমিন সুলতানার আওয়ামী লীগের আমলের যা ইচ্ছে তাই করার প্রবনতা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন, যা দেখে বড়াই গ্রাম উপজেলা জুরে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।বর্তমান বরইগ্রাম কৃষি কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের দোষর শারমিন সুলতানা অপরাধ দূর্নীতি সহ তার অর্জিত অর্থ সম্পদের বিবরণ দেখতে চোখ রাখুন ২য় পর্বে……চলবে
Leave a Reply