1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
আদালতের রায়ের পরেও সালাম মুর্শেদী গুলশানের সেই বাড়ি ছাড়েনী - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:০৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

আদালতের রায়ের পরেও সালাম মুর্শেদী গুলশানের সেই বাড়ি ছাড়েনী

আদালতের রায়ের পরেও সালাম মুর্শেদী গুলশানের সেই বাড়ি ছাড়েনী

স্টাফ রিপোর্টার:

খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে তিন মাসের মধ্যে গুলশানের আলোচিত সেই বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছলো হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনের দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে।  সেই সঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বাড়িটি বুঝে পাওয়ার পর আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে রায়ে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অনীক আর হক, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আল খান, রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন সাঈদ আহমেদ রাজা। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী।

সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ দাবি করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সেই আবেদনে দুদক, রাজউক ও গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সেখানে বিবাদী করা হয়।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় সেখানে। একইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়িটি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রিটের পক্ষে শুনানিতে অ্যাডভোকেট অনীক আর হক ও সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, হাইকোর্টে রাজউক ও দুদকের দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে, গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না। এরপর গত ৩ মার্চ মামলার শুনানি শেষ হয়।
এদিকে ৫ মাস পার হয়ে গেলেও সে এখনো বাড়িটি ছারেননী এ বিষয়ে সালাম মোর্শেদীর মোবাইল ফোনে বার বার চেস্টা করেও মন্তব্য জানা যায়নি তবে খবর নিয়ে জানাযায় সে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে পলাতক রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »