১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১২:৪৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা,
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পরীরবিল এলাকায় মোহছেন আউলিয়া ব্রিকস (এমবিএম) নামের এই ইটভাটা আইনের তোয়াক্কা না করে ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে গত বছর জরিমানা করে। চার মাসের সময় দিলেও ওই ভাটায় এ বছরও ইট তৈরি হচ্ছে।৮ বছর ধরেই অনুমোদন ছাড়াই আবাদি জমি ও লোকালয়ের পাশে তৈরি করছে ইট।এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে পরীরবিল এলাকায় তিন ফসলি জমিতে এমবিএম নামের এই ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি আর কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটার চারদিকে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।
জানা যায়, প্রশাসনের অনুমতি না পেলেও প্রতিষ্ঠানটি ইট তৈরির কাজ করছে।ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ তে বলা আছে, ‘আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। ‘ কিন্তু কাগজের নিয়মনীতির সঙ্গে বাস্তবের চিত্রের মিল পাওয়া যায়নি।
কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করায় চাষাবাদে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা। ইটভাটার পাশে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি রয়েছে। আইন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটা চালিয়ে যাওয়ায় প্রশাসন ও আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা হ্রাস পেতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তবে ভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, মালিক সবম্যানেজ করেই চালাচ্ছেন ইটভাটা।
বটতলী গ্রামের চাষি জমির উদ্দিন বলেন, ‘যেখানে বছরে তিনবার ধান চাষ হতো, সেখানে ইটভাটা হয়েছে। ভাটার ধুঁয়া পুরো গ্রাম ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমরা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’
সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৯ জানুয়ারি সকালে হাইকোর্টের এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বুলডোজারসহ রণপ্রস্তুতি নিয়ে অবৈধ ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দিতে এসে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করে তিন মাসের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক করার সময় বেঁধে দেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াছমিনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু চলতি বছর আবারও এখানে ইট তৈরি হচ্ছে। জরিমানা গুনলেও ইট উৎপাদন থেমে নেই ওই ইটভাটায়।
ইটভাটার মালিক সামশুল আলম বলেন, আমার কাগজপত্র ঠিক না থাকলেও সবঠিক করে নেব। এর চেয়ে বেশি কিছু বলবনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ইটভাটাটিকে কয়েকবার জরিমানা করা হয়েছে। পরে তারা আবার চালু করে। বিষয়টি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা।
Leave a Reply