১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:৩৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদন :
সাংবাদিকরা তথ্য অনুসন্ধানে আশুগঞ্জে গেল ওবাইদুল্লাহ নামক একজন চাউলের চাতাল ব্যবসায়ী তার লোকজন নিয়ে তাদের কাজে বাধা দেয় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তাঁর নেতৃত্বে যখন এদেশের সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করেন নিশ্চিন্ত মনে, ঠিক তখন হঠাৎ একদল মাঠ পর্যায়ের সংবাদকর্মীদের তাদের জাতির জন্য তথ্য অনুসন্ধানের কাজে বাঁধা দিয়েছেন একজন এমডি ওবাইদুল্লাহ, -এমনই তথ্য দিলেন ঢাকা থেকে আশুগঞ্জে যাওয়া একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদক দলের কাছ থেকে।
কে এই ওবাইদুল্লাহ?
এমডি ওবাইদুল্লাহ’র সম্পর্কে তথ্য মিলে, তিনি একজন হঠাৎ নেতা! আর হঠাৎ করে নেতা হবার পরই দুই আড়াই বছরের মধ্যেই সে বনে গেছেন একজন সাধারণ ব্যাবসায়ী থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী! -এমনই জানান সাধারণ চাতাল ব্যবসায়ীরা।
এমডি ওবাইদুল্লাহ চট্রগ্রাম বিভাগের আশুগঞ্জ উপজেলার একজন চাউল ব্যাবসায়ী ও সরকারি খাদ্য গুদামের চাউল সরবরাহকারী(বর্তমানে), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত বালি মিয়ার ছেলে।
সরেজমিনে মিলে ইদানিং এই এমডি ওবাইদুল্লাহ নিজেকে এতোটাই দাপুটে বলে মনে করেন যে সে মাঠ পর্যায়ের তথ্যকর্মীর কাজে বাঁধা দিয়ে, হুমকি ধামকি দিয়ে, আইডি কার্ড, ভোটার আইডি কার্ডের ছবি রেখে দিয়ে আর যেনো এই এলাকায় না দেখা যায়, এই ওয়ারনিং দিয়ে একপ্রকারের তাড়িয়ে দেন!
সংবাদকর্মীরা জানান তারা ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করা এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন, এমতাবস্থায় ওবাইদুল্লাহ এমরানের বড়োভাইসহ কয়েকজন লোকের সামনে এমন কিছু কথা বলেন যা ১০০% মিথ্যা, উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত, চক্রান্ত, অনৈতিক খায়েশ মিটানোর প্রয়াস, এমনকি এমরানের পরিবারসহ সবার ধ্বংস নিশ্চিত করার পাঁয়তারা বলে এমরানসহ এলাকার সকলেই এক বাক্যে মনে করেন।
আশুগঞ্জের এই ওবাইদুল্লাহ নামক ব্যক্তিটি গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের কাজে যেভাবে বাঁধা দেন, ভুল তথ্য দেয় ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেন তার টাকার দাপটের সাথে তা অচিরেই উক্ত সমাজে একটি দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারে বলেও কেউ কেউ আশঙ্কা করেন।
তথ্য মতে আরও জানা গেছে, এই ওবাইদুল্লাহ চাউলের চাতাল ব্যাবসার নেতা বনে যাবার পরে গত দুই আড়াই বছরের মধ্যেই সাধারণ ব্যাবসায়ী থেকে বিজনেস ম্যাগনেটে পরিনত হয়ে গেছে!
কি ভাবে ওবাইদুল্লাহ এতো দ্রুত গতিতে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন?
-এ প্রশ্নটির উত্তর ও রহস্য জানা যাচ্ছে ধীরে ধীরে এবং খুব শিগগিরই তা নিউজ আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
ওদিকে জানা গেছে, সরকারী খাদ্য গুদামে দেশের মানুষের জাতীয় খাদ্য চাউল সরবরাহের কাজে দুর্নীতি করেই ওবাইদুল্লাহ কোটিপতি হয়েছেন বটে, তবে তার অনৈতিক পদ্ধতির কারণে মানুষের প্রধান খাদ্য চাউল তার গুণগান মান হারাচ্ছে নির্বিচারে…..!
তথ্য অনুসন্ধানে মিলেছে ওবাইদুল্লাহসহ একাধিক চাউলের চাতাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হিসাব নিকাশ পদ্ধতি, পারসেন্টিস, রেট, ওসি এলএসডি’র ঘুষ (বৈধ করে নেয়া খ্যাত)সহ আদ্যপান্ত। এসব তথ্য জানতে তাদের সিন্ডিকেটের পাশাপাশি একাধিক ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলা হয়।
তাদের মতে, “এই সব সিন্ডিকেটের কারণে একাধারে আমরা আমাদের ব্যবসা হারাচ্ছি অনৈতিক প্রতিযোগীতায় হেরে গিয়ে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ হারাচ্ছেন তাদের জাতীয় অধিকার তথা খাদ্যমান যা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে মাঝখানে সে ও তারা বনে গেলেন কোটি কোটি টাকার মালিক …..।”
ওদিকে সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা দেবার কথাটি জানার পরে একাধিক সাংবাদকর্মী ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা ওবাইদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করত: আসল তথ্য প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি হোক, -এই দাবি জানান,
(চলবে….)
Leave a Reply