1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. mursalin1982@gmail.com : Protiva Prokash : Protiva Prokash
  3. reporting.com.bd@gmail.com : news sb : news sb
  4. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  5. mahtabur0@gmail.com : Daily Sobuj Bangladsesh : Daily Sobuj Bangladsesh
  6. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
আস্ত পাহাড় গিলে খাচ্ছে সাগরিকা প্রিন্টার্সের আমজাদ! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১:১৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

আস্ত পাহাড় গিলে খাচ্ছে সাগরিকা প্রিন্টার্সের আমজাদ!

আস্ত পাহাড় গিলে খাচ্ছে সাগরিকা প্রিন্টার্সের আমজাদ!

ফরহাদ- চট্টগ্রাম :

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পাহাড়। পাহাড় ভূমিকম্প থেকে রক্ষার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনেও ভূমিকা রাখে। আর এজন্যই বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে পাহাড় কাটাতো দূর সেখানে পরিবর্তন পরিবর্ধন করাটাও দন্ডনীয় অপরাধ। এবার চট্টগ্রামে সেই আইনকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে সাগরিকা প্রিন্টার্সের মালিক আমজাদ নামক এক ব্যাক্তি। তিনি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর দায়িত্বে আছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে বেপরোয়া হয়ে উঠা এই ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্ষমতার ষোল আনাই যেন প্রয়োগ করে এখন গিলে খাচ্ছেন আস্ত এক পাহাড়। আর এতে করে একদিকে যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে ঠিক তেমনিই আবার প্রাণনাশের হুমকিতে পড়ছে সেখানে বসবাসকারী ভাড়াটিয়ারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরের আকবর শাহ্ থানার অন্তর্গত মীর আওলিয়া মাজারের পাশে অবস্থিত সাগরিকা প্রিন্টার্সের কোল ঘেষে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে একটি সুবিশাল পাহাড়। অভিযোগ উঠেছে সেই পাহাড়টির ৪টি টিলা কেটে সেখানকার একটিতে স্থাপনা নির্মান করে সাগরিকা প্রিন্টার্সের মালিক আমজাদ। এছাড়াও আমজাদের নেতৃত্বে আরও তিনটি টিলা কেটে সেখানে স্থাপনা নির্মানের উপযুক্ত করে রাখা হচ্ছে। যদিও এখনও কাজের প্রায় অনেকটাই বাকী আছে। তবে আস্ত একটা পাহাড় যে এই পাহাড়খেকোর পেটে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে সেখানকার পরিস্থিতি। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। হুমকিতে পড়ছে জীববৈচিত্র্য, ধ্বংস হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানকার পাহাড়ে বসবাসকারী এক ব্যাক্তি বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকেই আমজাদ সাহেবের লোকজন কোদাল, খন্তা দিয়ে পাহাড় কাটে। প্রায় তিন মাস যাবত প্রতিদিনই একটু একটু করে কাটছেন তার লোক। আমরা ভয়ে কিছু বলি না। শুনেছি তিনি নাকি এলাকার প্রভাবশালী লোক। থানায় উঠাবসা আছে তার। কিন্তু তিনি এই পাহাড় কাটার কারনে আমরা ভয়ে আছি। এখানে একাধিকবার পাহাড় ভেঙ্গে আমাদের টিনের চালের উপর পড়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।

রুবেল হোসেন নামক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, শুনেছি পাহাড়ের উপরে তিনি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের একটি সুবিশাল কারখানা করবেন। আর এজন্যই সেখানে পাহাড় কেটে সমান করছেন। এর আগেও এখানে পরিবেশের অনেক লোক এসেছে কিন্তু কাউকেই কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।

পরিবেশবিদরা বলছেন, পাহাড় কাটার বর্তমান আইনটি সংশোধন করে কঠিন শাস্তির বিধান রেখে আইনটিকে সংস্কার করতে হবে। তবেই পাহাড় কাটা রোধ করা সম্ভব হবে। অন্যথায় পাহাড় কাটা বন্ধ করা না গেলে হুমকির মুখে পড়বে চট্টগ্রামসহ সারা দেশ। ভয়াবহ আকার ধারন করবে বন্যা, ক্ষয় হবে ভূমি, জলাবদ্ধতা নিরসন করা কখনোই সম্ভব হবে না। এ ছাড়াও পাহাড় কাটার ফলে প্রতিনিয়তই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে জানতে সাগরিকা প্রিন্টার্সের মালিক জনাব আমজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে উক্ত বিষয়ে বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »