1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
ইবিতে বিবস্ত্র করে ছাত্রীর ভিডিও ধারণ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:১১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই রেজাউলের বিরুদ্ধে ৫ দপ্তরে অভিযোগ দায়ের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার আগে হলে আপনাকে ভোটার হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন জেমস বন্ড হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে দুই অভিনেতা আফসারুল আরিফিনের মৃত্যুতে ডিসিসিআই’র শোক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই’র বর্ণিল অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন ১ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসিনার সময় দুদক ও বিচার বিভাগ দাসে পরিণত হয়েছিল বেগম রোকেয়া এ দেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন সুলতানার স্বপ্ন নামে সিরিজ পুরস্কার চালুর পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার অবৈধ সম্পদ অর্জনে পিছিয়ে নেই নাজির রুবেল
ইবিতে বিবস্ত্র করে ছাত্রীর ভিডিও ধারণ

ইবিতে বিবস্ত্র করে ছাত্রীর ভিডিও ধারণ

ইবি প্রতিনিধি॥

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেছে অভিযুক্তরা।

গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করা হয়।

নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং পরিসংসখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযোগী তাবাসসুম ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম রাত ৮টায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রজাপতি-২ রুমে যেতে বলেন। অসুস্থ থাকায় সেদিন তিনি যেতে পারেননি। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাবাসসুম। শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথম দফায় র‍্যাগিং করে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে হলের প্রভোস্টের সহযোগিতায় তখন সেটা সম্ভব হয়নি।

পরদিন রোববার ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ৭-৮ জন মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গণরুমে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয় এবং মুখ চেপে ধরে গালিগালাজ করা হয়। এমনকি তাকে ময়লা গ্লাস মুখ দিয়ে পরিষ্কার করতে বলেন সানজিদা। পরে ওই ছাত্রীকে জামা খুলতে বলেন অভিযুক্তরা। জামা না খুললে পুনরায় মারতে থাকেন তাকে। এরপর জোর করে তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমাকে গত রোববার গণরুমে ডেকে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমার শরীরে এখনো ব্যাথা করছে। জীবন বাঁচাতে পরদিন সোমবার ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে আসি। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

নির্যাতনকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী বলেন, সে আমার নাম করে আমাকেই ভয় দেখাচ্ছিলো। এজন্য তাকে ‘বোঝানো’ হয়েছে। তবে তার সঙ্গে আমরা এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাইনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ঘটনা যদি সত্য হয় এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে আমরা প্রশাসনের কাছে তার শাস্তির দাবি জানাব এবং আমরা সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি একটি প্রোগ্রামে আছি। অফিসে গিয়ে লিখিত অভিযোগটি দেখব। এরপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই র‍্যাগিংয়ের অনুমতি নেই। আমি নীতিগতভাবে এটা কখনো সমর্থন করি না। আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!