১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:২৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:
মনোরম শীতের বিকেলে লন্ডনের একটি হোটেলে বসে চা খাচ্ছেন দুই নারী। দু’জনেই স্বনামধন্য। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে দু’জনেরই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস উদযাপন উপলক্ষে তারা দেখা করেছেন একে অপরের সঙ্গে।
একজন তুর্কী ওয়েব ডিজাইনার ২৭ বছর বয়সী রুমেইসা গেলগি। উচ্চতা ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। আর অন্যজন ভারতীয় অভিনেত্রী ৩১ বছর বয়সী জ্যোতি আমগের। উচ্চতা মাত্র ২ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী একজন বিশ্বের দীর্ঘতম নারী। অন্যজন উচ্চতায় ক্ষুদ্রতম। দুইজনের উচ্চতার পার্থক্য প্রায় ৫ ফুট।
সম্প্রতি লন্ডনের স্যাভয় হোটেলে তারা দেখা করে দুজনে চা পান করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। গেলগি বলেন, তাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তারা দুইজনই মেকআপ করতে, নিজের যত্ন নিতে, অলংকার পরতে ও নখে নেইল পলিশ লাগাতে ভালবাসেন। উচ্চতার পার্থক্যের জন্য একে অপরের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে একটু সমস্যা হলেও, সব মিলিয়ে এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।
অন্যদিকে, আমগে তার অনুভূতি জানাতে বলেন, তিনি এই অনন্য রেকর্ডধারী গেলগির সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছেন।
তুরস্কের ওয়েব ডিজাইনার গেলগিকে ২০২১ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘লম্বা জীবিত নারী’ হিসাবে নিশ্চিত করে গিনেস। উইভার সিনড্রোম নামে এক বিরল রোগ গেলগির এই উচ্চতার কারণ। তার আগে মাত্র ২৬ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
আমগে ভারতে জন্ম নেওয়া অভিনেতা ও গণমাধ্যম তারকা। আকারে ছোটখাটো হলে, সামাজিক মাধ্যমে একজন বড় তারকা আমগে। তিনি ফ্রিক শো নামের মার্কিন টিভি সিরিজে মা পেতিত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে খাটো অভিনেত্রী হিসেবেও তালিকাভুক্ত করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
তিনি অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া নামের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হন। যার ফলে তার হাড়ের বৃদ্ধি থেমে যায়। এই রোগ সাধারণ হাতে ও পায়ে সংক্রমিত হয়। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ থাকা অবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। শিশুদের হাত ও পা গঠনে ব্যবহৃত কার্টিলেজ টিস্যু এতে প্রভাবিত হয়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ২০২৫ সালের ছাপানো সংস্করণে গেলগি ও আমগে উভয়কেই জিডব্লিউআর আইকন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সবা:স:সু-২২২/২৪
Leave a Reply