৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:৩৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
রাহিমা আক্তার মুক্তাঃ
উত্তরা বিআরটিএ অফিসসহ আশেপাশে এলাকায় দালালদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা সাধারণ মানুষ।
এ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ, দালালদের কাছে সবই সম্ভব অসম্ভবকে সম্ভব করাই দালালদের কাজ। আর এসব কাজে পাঁচ গুণ টাকা বেশি নিয়ে কাজ করে বলে মাসের পর মাস ঘুরতে হচ্ছে দালালদের দ্বারে দ্বারে । এ যেন সরিষা ফুলের মধু দৌঁড় পারে, একজন মধু খায় আরেকজনে একজনের পকেট খালি করে দশজনের পকেট ভারী করে কিছু অসাধু। বিআরটিএ এর আশেপাশে এসব দালালদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে যেমন হোটেল কম্পিউটারের দোকান, চায়ের দোকান এসব ব্যবসার সাইনবোর্ড দেখিয়ে তারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের দালালি করছে।
আর এসব দালালদের শেল্টার দাতা হলেন, মোঃজীবন উত্তরা বিআরটিএ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তার বিরুদ্ধে চরম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এসে প্রতিটা ধাপে ধাপে ঘুষ দিতে হয় ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া কাজ করা হয় না আর এসব ঘুষ বাণিজ্যের মহানায়ক জীবন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা হয়রানির শিকার হয়েছেন এমনই এক ভুক্তভোগি মোঃ কাজল জানান তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আটজন দালালকে ২০০০০ টাকা দিয়েছেন কিন্তু তার কাজ সম্পন্ন হয়নি। আজকাল বলে ছয় মাস ধরে তাকে ঘুরাচ্ছে এই ভুক্তভোগী কাজলের বাড়ি রুপগঞ্জ তিনি এখনও ড্রাইভিং লাইসেন্স পায় নি। আট জন দালালের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া গেছে দালাল কামাল দালাল সুমন। এ বিষয়ে উত্তরা বিআরটিএ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ইমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের বক্তব্য দিতে নারাজ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএ ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র ভেসে উঠে ভোগান্তির অপর নাম যেন বিআরটিএ।
রাজধানীর উত্তরা বিআরটিএ কার্যালয় নম্বর প্লেট ফিটনেস মালিকানা পরিবর্তন রেজিস্ট্রেশন ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে ঘুষ ছাড়া কোন সেবাই মিলেনা। শুধু এই উত্তরা বিআরটিএ নয় দেশের সব বিআরটিএ কার্যালয় দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে দালালদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। দুই তিন দিন পরে আবার তাদের কার্যকলাপ শুরু হয় তাই বন্ধ হয়না বিআরটিএর দুর্নীতি এবং দালালদের অপতৎপরতা। আমরা মনে করি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নিজেদের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে নিম্ন পর্যায় দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব আসলে বিষয়টি হচ্ছে লোভের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘুষের লোভ সংবরণ করতে পারেনা তাই আশকারা পেয়ে সবাই গজিয়ে ওঠে দালালচক্রে মূলনীতি। কারো পকেট খালি করে কারো পকেট ভারী হয়ে যাচ্ছে এই উত্তরা বিআরটিএ দুর্নীতির দালালদের অপতৎপরতা এ বিষয় চিরুনি অনুসন্ধান চলছে পরবর্তী প্রতিবেদন এর সঙ্গে অনুসন্ধানী তথ্য সংযুক্ত করা হবে
Leave a Reply