১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:২৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
এ এস এম সায়েমঃ
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন এবং অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের ফাঁকিবাজিতে চালু হচ্ছেনা অপারেশন থিয়েটার।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন মাসে মাত্র চার দিন আসেন।
উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ জনগণের চিকিৎসা সেবায় সরকারি এই হাসপাতালটি ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু হয়নি অপারেশন থিয়েটার।
গত বছর আঠারো ডিসেম্বর এখানে গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত যোগদানের পরেও তাদের ডিউটি ফাঁকিবাজিতে এবং জিএ মেশিন মেরামতের অভাবে চালু হচ্ছেনা অপারেশন থিয়েটার।
এ বিষয়ে নাক, কান, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন মানবজমিনকে বলেন, আমি সপ্তাহে বুধবার রোগী দেখি নেছারাবাদে। এছাড়া বরিশালের ল্যাব এইডে রোগী দেখি।
অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার সত্যজিৎ দত্ত বলেন, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন সংযোজন বা মেরামতের অভাবে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় আমার কোন কাজ নাই। হাসপাতালে গিয়ে অন্যের চেম্বারে বসে থাকতে হয়। ওটি চালু হলেই আমি ওখানে থাকবো। বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকি হাসপাতালে প্রায়ই যাই।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ইন্দ্রাণী কর রোগী থাকলে রবি বার আসতে বলে ফোন কল কেটে দেন।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ডাক্তার ইন্দ্রাণী কর সপ্তাহে রবিবার আসেন অ্যানেসথেসিয়া ও নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাসের বেতন নেওয়ার জন্য একবার আসেন। এছাড়া হাসপাতালে যদি কোন ইনেক্সপেকশন থাকে তখন এসে হাজির হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ফিরোজ কিবরিয়া মানবজমিনকে জানান, হাসপাতালের জিএ মেশিন চালু হলেই সার্জন ও অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার কন্টিনিউ ডিউটি করবেন। হাসপাতালে কন্টিনিউ হওয়ার ব্যাপারে তাদের বলবো।
Leave a Reply