৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:২৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সমবায় আইন,বিধি ও কালবের উপ-আইন লংঘন করে দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ(কালব) এর বোর্ডে পরিচালক পদে একাধিক্রমে দুই বার রয়েছেন রতন চন্দ্র রায়। ঋণ খেলাপী হওয়া সত্ত্বেও কালবের বোর্ডে পরিচালক পদে বহাল তবিয়তে থাকায় কালবের ডেলিগেটদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,কালবের সদস্য সমিতি কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:এর ডেলিগেট হিসেবে রতন চন্দ্র রায় কালবে পরিচালক পদে আছেন। রতন চন্দ্র রায় একদিকে ব্যক্তিগতভাবে কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:এ ঋণ খেলাপী। অন্যদিকে তার প্রতিনিধিত্বকারি সমিতি কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কালবে ঋণ খেলাপী। বিদ্যমান সমবায় সমিতি আইন-২০১৩ ,সমবায় বিধিমালা-২০২০ ও কালবের উপ-আইন অনুযায়ী কোন ঋণ খেলাপী সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবে না এবং ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকতে পারেনা। কিন্ত রতন চন্দ্র রায় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে কালবের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আছেন। এবিষয়ে রহস্যজনকভাবে সমবায় অধিদপ্তর ও কালব কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করছে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:এর ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য বলেন, রতন চন্দ্র রায় দীর্ঘ দিন সমিতিতে ঋণ খেলাপী। কালবের বিগত বোর্ডে শুন্য পদে যখন রতন চন্দ্র রায় কে পরিচালক পদে কো-অপ্ট করা হয় তখনও তিনি সমিতিতে ঋণ খেলাপী ছিলেন। তথ্য গোপন করে পরিচালক পদে কো-অপ্ট হন। আবার ১১ নভেম্বর-২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত কালবের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে যখন পরিচালক পদে অংশগ্রহন করেন তখনও তিনি ঋণ খেলাপি ছিলেন। তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এখন পরিচালক পদে আছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সমিতিতে ঋণ খেলাপী।
এদিকে কালবের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: এখনো কালবে ঋণ খেলাপী। তবে কালবের জেনারেল ম্যানেজার নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছয় মাসের জন্যে খেলাপী ঋণ এক্সটেনশন করেছেন। যা বিদ্যমান সমবায় সমিতি আইন-২০১৩ ,সমবায় বিধিমালা-২০২০ ও কালবের উপ-আইন’র সুস্পষ্ট লংঘন।
অবৈধভাবে পরিচালক পদে একাধিক্রমে দুই বার থাকা রতন চন্দ্র রায় যে কার্যভাতা,যাতায়াত ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাধি গ্রহন তা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং ফেরতযোগ্য। অবৈধ পরিচালক রতন চন্দ্র রায় কালবের খরচে কানাডা ও নেপালে সেমিনার ফোরামে অংশগ্রহন করেছেন। অন্যদিকে আবার অবৈধ পরিচালক রতন চন্দ্র রায় কে কালবের মালিকানাধিন রিসোর্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রতন চন্দ্র রায় মঠবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন এমপিওভূক্ত সহকারি শিক্ষক। তিনি স্কুলের নিয়মিত কার্যক্রমে অংশগ্রহন না করে কালবের রিসোর্টে ভেজাল মদের কারবার ও শর্টগেস্ট ব্যবসার মত অসামাজিক কার্যকলাপে নিজেকে সার্বক্ষণিক নিযুক্ত করেছেন।
কালবের ক অঞ্চলের একজন পরিচালকের সমিতি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঋণ খেলাপি হওয়ার কারনে বোর্ড মিটিং এ অংশ নিতে আসার পরও তাকে মিটিং এ বসতে দেয়া হয়নি। তাকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য একজনকে কো-অপ্ট করা হয়। তাহলে একাধিক্রমে দুইবার রতন চন্দ্র রায় কে অবৈধভাবে কেন বোর্ডে রাখা হয়েছে-এটাই কালবের ডেলিগেটদের প্রশ্ন। এমতাবস্থায় উভয় সমিতিতে খেলাপী হওয়ার কারনে রতন চন্দ্র রায় কে কালবের পরিচালক পদ থেকে অপসারন এবং কেটুন হিন্দু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি: কর্তৃক কালবে প্রদত্ত তার ডেলিগেটশীপ বাতিল করা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।
উল্লেখ্য, সমবায় আইন,বিধি ,কালবের উপ-আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশে লংঘন করে আগষ্টিন পিউরিফিকেশনও কালবে অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
এবিষয়ে রতন চন্দ্র রায় ও কালবের জেনারেল ম্যানেজার প্যাট্রিক পালমার বক্তব্য নেয়ার জন্যে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেন নি।
Leave a Reply