১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১২:৫৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভুয়া কোম্পানীর মাধ্যমে দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতিবাজ সাজ্জাদ খান, জাফর মীর, সৈয়দ হারুন ও এদের সেল্টার দাতা ও সুদখোর আমিরুল ইসলাম পিকু মৃধা চক্রের বিরুদ্ধে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর প্রেরিত ওই অভিযোগে বলা হয়, একটি দুর্নীতিবাজ ও অসৎ, জালিয়াতি চক্রেরা কিছু ভুইফোড় মাল্টি পারপাস কোম্পানী ও সঞ্চয় সমিতির নামে মাধ্যমে একাধিক কোম্পানী করে একেক সময়, একেক নামে, একেক জায়গায় সঞ্চয়/সমিতির অফিস খুলে নিরীহ মানুষদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এবং প্রচুর লাভের লালসা দেখিয়ে বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের কথা বলে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, বর্তমানে এই চক্রটি এখন অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার মালিক সেজেছে। এদের আত্মীয় স্বজন, পরিবার পরিজনদের নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এই চক্রটির সর্বশেষ অফিস এখন ঢাকার মিডর্ফোট হাসপাতাল বাবু বাজার ও সদরঘাট-কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান নিয়ে অপকর্মগুলো চালিয়ে যাচ্ছে । এদের সকল অবৈধ কার্যক্রম রক্ষা করতে পুলিশের এক এডিশনাল এসপির ভাইকে পার্টনার বানিয়েছে। জনৈক এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম তারা যত্রতত্র ব্যবহার করছে এবং কতিপয় দালালদের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ চোট ব্যবসা করে অসংখ্য মানুষের টাকা লুটপাট করছে। বর্ণিত চক্রটির কথিত অফিসের নাম “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি” যার কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন ও মীর জাফর, এছাড়া অপর কোম্পানী “মধুমতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড” যার এম ডি হলো সৈয়দ হারুন অর রশীদ ওরফে জঙ্গী হারুন ওরফে আফগান হারুন, এনআইডি নং:-৮৬৭৭৭২৪৯১৯ এরা দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দিনের জন্য অফিস নিয়ে সেখান থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষকে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়, কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থেকে তাদের নিজ এলাকা গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন জয়নগর বাজার সহ কাশিয়ানী- মুকসেদপুর এলাকা জুড়ে স্থানীয় কিছু দালাল ও মোড়লদের ম্যানেজ করে কতিপয় পুলিশ প্রশাসনদের মাশোয়ারা দিয়ে তারা সুদের উপর টাকা লাগিয়ে গ্রামের হতদরিদ্র ও নিরীহ মানুষদের জায়গা-জমি, ভিটে-মাটি দখল করে নিয়ে অসংখ্য পরিবারকে সর্বশান্ত করে দিয়ে পথে বসিয়েছে।
তাদের অত্যাচারে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের হঠাৎ করে সম্পদশালী হওয়ার রহস্য নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরী হওয়ায়, এখন ঘরে ঘরে সঞ্চয় সমিতি ও চড়া সুদে লেনদেনের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয় ভাবে এদরে সল্টোর দাতা ও প্রভাবশালী দালাল সুদখোর আমরিুল ইসলাম পিকু মৃধা ও দালাল মিন্টু মৃধা এদের ভয়ে এলাকার মানুষ আতংকতি। অথচ উল্লেখ্যিত চোট ব্যবসায়ী (সুদখোর) দের সম্পর্কে স্থানীয় জনৈক শিক্ষক ও একজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায় এই চোট ব্যবসায়ী “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতির” কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন, সাত-আট বছর আগে এলাকার জয়নগর বাজারে মুদি দোকানে কাজ করতো এবং রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানের বেড়া কেটে এবং কখনো কারো দোকানের চালা ও জানালা কেটে বিভিন্ন মালামাল এবং টাকা-পয়সা চুরি করতো! এই চক্রটি বাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছিল, তারাই এখন অবৈধ উপায়ে কোটিপতি হয়ে এলাকায় এসে মানুষের বাড়ি ঘর, জমা জমি, হাস-মুরগি পর্যন্ত জুলুমবাজি সহ দখল করে নিচ্ছে। সুদখোর লুটেরাজদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে, এমনি ঘটনার বিবরণিতে জানা যায়। সম্প্রতি এই সাজ্জাদ-হারুণ সুদখোর চোট বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর একজন সনামধন্য সমাজসেবক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মশি শ্রাবণ কে সন্দেহাতীত ভাবে বর্ণিত সুদখোর ও চোট ব্যবসায়ী দলনেতা দুর্নীতিবাজ সাজ্জাদ খান ও তার একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মারুফ বাহিনী নিয়ে মশি শ্রাবণের ঢাকার কাকরাইলস্থ অফিসে ও তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে হামলা চালিয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাছ সহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করেছে। সৌভাগ্যক্রমে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ দেশের বাহিরে থাকায় সাজ্জাদ বাহিনীর হাতে মশি শ্রাবণ আক্রান্ত বা হামলা শিকার হয়নি।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই দুর্নীতিবাজ চক্রটিকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে উক্ত “মধুমতি কো-অপারেটিভ লিঃ” যার এম ডি সৈয়দ হারুন অর রশীদ ওরফে জঙ্গী হারুন এবং “রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি” যার কর্নধার সাজ্জাদ খাঁন ও মীর জাফর সহ এদের পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের সকল সম্পদের হিসাব নেওয়া সহ এই চক্রের অন্যতম দালাল ও স্থানীয় গড ফাদার পিকু মৃধা, পিতাঃ- মৃত আঃ হক মৃধা, সাং- মহশেপুর, কাশয়িানী-গোপালগঞ্জ। এদের সকলের সম্পদের হিসাব নেওয়ার জন্য জরুরী কার্যকরী আইনি পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছেন একজন আইনজীবি।
Leave a Reply