১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:০৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। এবারের আসরে এখনও পর্যন্ত প্রতিটি দলের বিপক্ষেই দাপুটে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে বড় অবদান রাখেন লাল-সবুজের নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা। পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। এবারের সাফে ৪ ম্যাচে এখন পর্যন্ত সাবিনার গোল ৮টি। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশের এই গোল মেশিন।
২০১৬ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠেও ভারতের কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল লাল-সবুজের দলটির। সেবার ভারতের কাছে ৩-১ গোলে হেরে রানার্সআপ হতে হয়েছিল তাদের। ওই সময় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা। ছয় বছর পর আবারও ফাইনালে সাবিনার দল। এবারও দলের নেতৃত্বও তার কাঁধে।
তবে এবার রানার্সআপ নয় বরং শিরোপা জিতে দেশে ফিরতে চান বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল নিশ্চিত করার পর নেপাল থেকে ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে আলাপচারীতায় এ কথা জানান বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
সাবিনা খাতুন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। আমরা ফাইনালে উঠেছি। এবার ট্রফিটা নিতে চাই।’
এবারের সাফ টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত কোনও গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। কারণ হিসেবে সাবিনা বলেন, ‘ বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের যে উন্নতি হয়েছে, সেটার প্রমাণ মাঠে আমরা দিচ্ছি। আশা করি এই ধারাবাহিতাকতা ফাইনাল ম্যাচেও অব্যাহত রাখতে পারব।’
হ্যাটট্রিকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতাই অন্যদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আমি সবসময়ই বলি অভিজ্ঞতা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। ফিনিশিংয়ে আমার অভিজ্ঞতা আমাকে এগিয়ে দিয়েছে।’
আগামী ম্যাচেও নিজেদের পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সাবিনা খাতুন বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচেও আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আমরা পারব।’
এ সময় প্রতিটা জয়ের পেছনে সকল কৃতিত্ব কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে দেন সাবিনা খাতুন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এই জয়ের সব কৃতিত্ব স্যারকে দেব। নারী ফুটবলের শুরু থেকে স্যার আমাদের সঙ্গে আছেন। স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ আজ ফাইনালে পৌঁছাতে পেরেছে। আর এবার আমরা একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। চেয়েছি দেশকে ভালো কিছু উপহার দেব। এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
Leave a Reply