৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:৩৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ওয়াল্টনের কারখানায় ইফতার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার ঘটনা এটি।
রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।
ইউএনও জানান, রোববার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানায় ইফতার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হয়। এর মধ্যে তিন শ্রমিক মারা গেছেন। তবে তারা খাদ্যের বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় ওয়াল্টনের কারখানায় ইফতার খেয়ে ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ওয়াল্টন কর্তৃপক্ষ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টায় প্রচার চালাচ্ছেন যে, হিট স্টোকে মারা গেছেন ওই তিন শ্রমিক। ওয়াল্টনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. সুজন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যতদূর জেনেছি, তারা খাবার খেয়ে নয়; হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’
শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য শ্রমিকরা কাজ বন্ধ বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ওয়াল্টনের কারখানার সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। রাত ৮টা থেকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বাড়ৈপাড়া থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে।
খবর পেয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছানোয়ার হোসেন ও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মারা যাওয়া শ্রমিকদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে আল আমিন হোসেন (২৮) নামের আরেক শ্রমিক হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি আছেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। তিনি ওয়াল্টনের পাউডার কোটিং সেকশনের অপারেটর ছিলেন বলে জানা গেছে।
Leave a Reply