1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
কীভাবে বুঝবেন ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে? - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:৪৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

কীভাবে বুঝবেন ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে?

ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কাদের বেশি

কীভাবে বুঝবেন ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে?

ভয়ংকর বিপদের নাম ব্রেন স্ট্রোক

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

ভয়ংকর বিপদের নাম ব্রেন স্ট্রোক। সাক্ষাৎ যমদূত এটি। ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন’ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ সমীক্ষা বলছে, প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন।ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন
তবে শুধু বয়স্করা নন, এখন কম বয়সিদের মধ্যেও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের কারণেই এমনটা হয়। প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস এই বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাহলে আর দেরি না করে আসুন জেনে নিই, কাদের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
১। যাদের মধ্যে বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি, তাদের ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। প্যাকেটজাত চিপস্, বিভিন্ন ধরনের কুকিজে লবণের পরিমাণ বেশি। এই বাড়তি লবণ স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্রমশ।
২। ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে যাদের, তাদের ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই সুস্থ থাকতে মদ্যপান থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩। যাদের শরীরে ভিটামিন সি’র পরিমাণ কমে যায়, তাদেরও ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে হ্যামোরেজিক স্ট্রোক ডেকে আনে এই ভিটামিনের ঘাটতি। তাই ভিটামিন সি যুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
৪। ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে যাদের, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তাদেরও রয়েছে। এমনকি তাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেশি। তাই দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।
ব্রেন স্ট্রোক আসলে কী?
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন ক্রনিক সমস্যা মস্তিস্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ আটকে দেয়। এদিকে রক্তের মধ্যে ভেসে বেড়ানো চর্বি আচমকা ধমনীতে আটকে গিয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্কেও কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায়। তাকেই বলা হয় ব্রেন স্ট্রোক।
সাধারণত দুই ধরনের স্ট্রোক হয়। ইসকিমিক আর হেমারেজিক। ইসকিমিক স্ট্রোকে রক্ত চলাচল থেমে যায় আর হেমারেজিক স্ট্রোকে দুর্বল রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়।
এছাড়া আছে ‘ট্র্যান্সিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা টিআইএ। অল্প পরিমাণ রক্ত মস্তিস্কের রক্তবাহী ধমনীতে সাময়িকভাবে আটকে গেলে কিছুক্ষণের জন্য রোগীর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। আপাত দৃষ্টিতে মারাত্মক না হলেও টিআইএর পরে বড় অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে।
কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
আচমকা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। নিজের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকা। চোখের সামনে হঠাৎ এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা। মুখের এক দিক বেঁকে যাওয়া। কথা বলতে গিয়ে কথা জড়িয়ে যাওয়া। বাহুতে ব্যথা হওয়া।
এই সমস্ত লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন। পরিবারের কারও এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক হয়ে যাবে মনে করে বাড়িতে রাখলেই কিন্তু বিপদ। তাই সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই।

সবা:স:সু-৮৬/২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!