২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:১৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
ক্ষত কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। জনবল, অস্ত্র ও যানবাহনের ঘাটতি থাকলেও সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার চেষ্টায়। রাজধানীর বেশীরভাগ থানায় নতুন সদস্য যুক্ত হওয়ায় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগে-পরে জনরোষের শিকার হয় পুলিশ। ৪০০-এর বেশী স্থাপনায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। যানবাহন পুড়েছে এক হাজারেরও বেশি। প্রাণ হারান অন্তত ৪৪ পুলিশ সদস্য।
রাজধানীর ভাটারা থানার মূল ফটকের পাশে এখনও পোড়া গাড়ির স্তুপ। ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় অবশিষ্ট ছিল না কিছুই। পাঁচ মাসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে থানাটি। যদিও লুট হওয়া ৫২টি অস্ত্রের এখনও খোঁজ নেই।
ক্ষোভের আগুনে পুড়ে যাত্রাবাড়ি, মোহম্মদপুর, শাহবাগ, মিরপুরসহ রাজধানীর বেশীর ভাগ থানা। আলামত ও পুলিশের গাড়িসহ যাত্রাবাড়িতেই পোড়ানো হয় প্রায় অর্ধশত যানবাহন। যে ক্ষত এখন পুরণ হয়নি।
স্থানীয়রা সেবা নিতে থানায় আসছেন তবে পুলিশ সদস্যদের অস্বস্তি পুরোপুরি কাটেনি। অপরাধ দমনে শুরু হয়েছে নিয়মিত টহল। এখন প্রয়োজন জনগণের আস্থা অর্জন।
পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর বলেন, আমাদের যেই ইউনিটগুলো রয়েছে সেখানে পুলিশকে দ্রুততার
সঙ্গে অপারেশনার করার কাজটি খুবই দ্রুততার সঙ্গে করেছি। এ ছাড়া গাড়ির যে সংকট ছিল এবং ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো প্রায়োরিটি অনুযায়ী সমাধান করা হয়েছে।
যত চাপই আসুক পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে অতীতের মতো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করার পরামর্শ নিরাপত্তা বিশ্লেষক জগলুল আহসানের।
তিনি বলেন, জনতা এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে পুলিশ বিচ্যুত হয়ে গেছে। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হলে যে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট সেটা ৫ আগস্টের ঘটনায় সব পুলিশ সদ্যদের বুঝা উচিত।
সবা:স:জু- ৬৫৫/২৫
Leave a Reply