1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের ভুয়া বিল ও কমিশন বাণিজ্য - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:৫৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
বরগুনার পাথরঘাটায় বেড়েছে বিএনপির নেতা কর্মীদের হুমকি ও চাঁদাবাজি গোপালগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার রানা আটক মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে এগিয়ে আসুন – ডাঃ রাজ্জাক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুর্নীতির আখড়া ঝিনাইদহের আদম ব্যবসায়ী সজলের খপ্পরে নিঃশ্ব শত শত পরিবার ভূয়া মেজর অভিযানের নামে টাকা লুট, গ্রেফতার ৪ দেবিদ্বারে মসজিদে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়া ও বন্যার্তদের জন্য দোয়া মাহফিল চুয়াডাঙ্গায় লুটপাটের রাজপুত্র টগর,পাহাড় সমান অপকর্ম করেও  ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে!! সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের মোটরযান পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের ত্রাণ বিতরণ
গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের ভুয়া বিল ও কমিশন বাণিজ্য

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফের ভুয়া বিল ও কমিশন বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার:
গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, ভুয়া বিল, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৌশলী ইউসুফ আওয়ামী বিরোধী বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। এসব সিন্ডিকেটের অন্যতম প্রকৌশলী ইউসুফ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তিনি কমিশন ছাড়া কাজ করেন না এবং নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখেন।

ইউসুফের বিরুদ্ধে কাজ না করেই অনেক প্রকল্প থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বেশির ভাগ টাকা নিয়েছেন এবং বাকিটা সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন বলে জানা গেছে। ইতঃপূর্বে ইউসুফের বিরুদ্ধে একজন ঠিকাদার পাওনা আদায়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছিল। তারপর তড়িঘড়ি করে ওই ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করেছিল বলে জানা গেছে। অভিযোগ আছে, ওই ঠিকাদারকে থানার অভিযোগ উঠিয়ে নিতে বাধ্য করেন ইউসুফ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, মোঃ ইউসুফ মূলত নিজস্ব সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন, ফলে কাজ না করে বা কাজ বেশি দেখিয়ে বিল উঠালেও প্রমাণ গায়েব করতে সহজ হয়।

ঠিকাদার বিহারী কাওসার এবং নাজমা এন্টারপ্রাইজ এর সাথে ইউসুফের সখ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আগারগাঁও এ সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে একজন ঠিকাদারের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে বিল আটকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করেছে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ।

জানা যায়, বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর শামিম আক্তারের অত্যন্ত আস্থাভাজন মো. ইউসুফ। তার তৈরি করা সিন্ডিকেট গণপূর্ত অধিদপ্তরে এতটাই ক্ষমতাধর হয়ে উঠেছে যে তাহারা ধরাকে সরাজ্ঞান করেছে। নিয়োগ, বদলি ও পদায়ন এসবের নেপথ্য ভূমিকা রাখে এই সিন্ডিকেট। শত শত কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে এরা সাপণ্ডলুডু খেলছে। কমিশনের বিনিময় সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের কাজ দিতে তৎপর এসব সিন্ডিকেট।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে, একাধিক বার ফোন করলেও প্রকৌশলী মো. ইউসুফ ফোন রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তার উত্তর দেননি।

গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামিম আক্তার এই প্রতিবেদককে বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকৌশলী ইউসুফ অফিসে বসেন না বা কারো ফোন ধরেন না এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অবশ্যই অফিসে বসা উচিত এবং আত্মপক্ষের সমর্থন হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সবারই দায়িত্ব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »