1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
গণপূর্তে কে এই মামা সিরাজ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:২৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
করিমগঞ্জ-তাড়াইলে আনন্দের জোয়ার মিষ্টি বিতরণ  সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত রাজউকের উপপরিচালক সোহাগের বিরুদ্ধে  পাহাড়সম অভিযোগ  ইবি সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবের সঙ্গে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মতবিনিময় উত্তরায় খালেদার বহরে হামলা না হলেও মামলা, আসামী এক বিএনপি নেতা সরমান’ সিন্ডিকেটে জিম্মি যমুনা লাইফ! মিথ্যা মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ এস আই দোলোয়ারে বিরুদ্ধে পিডিবি ফারুক আহমেদ শতকোটি টাকার দুর্নীতি অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদ যেনো ফিরে আসতে না পারে তাই সচেতন থাকতে হবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড পুনর্গঠন
গণপূর্তে কে এই মামা সিরাজ

গণপূর্তে কে এই মামা সিরাজ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গণপূর্ত ভবনে তার অবিশ্বাস্য দাপট। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী,নির্বাহী প্রকৌশলী,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারি প্রকৌশলী সবার কাছেই তিনি কেমন মামা নামে পরিচিত। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার নাকি তার ভাগ্নে। আর এই পরিচয়েই তিরি প্রভাব খাটিয়ে থাকেন।

প্রধান প্রকৌশলীর ব্যবসায়িক পার্টনার কিংডম বিল্ডার্সের মালিক নুসরাত আহমেদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতাও চোখে পড়ার মত। প্রায়ই নাকি নুসরাত আহমেদকে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে আমোদ ফুর্তি করেন। বিনিময়ে তিনি পেয়ে থাকেন প্রধান প্রকৌশলীর বিশেষ আনুকুল্য। মহাভাগ্যবান এই ভাগ্নের নাম মো: সিরাজুল ইসলাম।

রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় তার বাড়ী। আজ থেকে বছর দশেক আগে অখ্যাত একটি দৈনিক পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি পদে বিনা বেতনে কাজ করতেন। ইদানিং প্রধান প্রকৌশলীর বদৌলতে তিনি বনেগেছেন কোটিপতি। ঢাকায় আলীশান ফ্ল্যাটে থাকেন। নতুন নতুন মডেলের গাড়ীতে চড়েন। তার চালচলন দেখলে মনে হয় তিনি কোন শিল্পপতি বা প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা।

এই সিরাজুল ইসলামের কথায় নাকি গণপূর্ত অধিদপ্তরে এখন অনেক অসাধ্য কাজ সাধ্য করা যায়। তিনি তার কথিত ভাগ্নে প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারকে দিয়ে যা খুশি তা করাতে পারেন। বিনিময়ে যে কমিশন পান তা দিয়েই রাজকীয় জীবন যাপন করেন। একাধিক সুত্রে জানাগেছে, ভাগ্নে সিরাজ প্রায়ই ঢাকা ও ঢাকা মেট্রো জোনের কোন না কোন নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে হাজির হন। ভিআইপি মর্যাদায় আপ্যায়িত হন।

কোটি কোটি টাকার টেন্ডারে অংশ নেন। ভাগ্নের প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারী কাজও বাগিয়ে নেন। পরবর্তীতে সে কাজ অন্য ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করে দেন। শোনা যায় প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারের অনিয়ম দুর্নীতি যাতে কোন মিডিয়ায় প্রকাশ না হয় সে জন্য তিনি অলিখিত ঠিকাদারী নিয়েছেন। এ খাতে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে। কিন্ত কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার মাঝে ২০/৩০ হাজার টাকা বিতরণ করেই  বাকি টাকা পকেটস্থ করেন। ফলে প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গত এক মাস যাবৎ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সিরিজ রিপোর্ট প্রকাশ হয়েই যাচ্ছে।

একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে সিরাজুল ইসলাম ইতোমধ্যেই প্রায় ১০ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিয়েছেন। তাকে নিয়ে এখন গণপূর্ত অধিদপ্তরে আলোচনার ঝড় বইছে। প্রশ্ন উঠেছে তিনি প্রধান প্রকৌশলীর কেমন মামা? প্রধান প্রকৌশলীই বা কি কারণে তাকে এত সুযোগ দিচ্ছেন? কি রহস্য লুকিয়ে আছে তার নেপথ্যে? এ বিষয়ে কথা বলতে মো: সিরাহুল ইসলামের সেল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার বলেন, “আমি তাকে চিনি না”।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »