1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার! - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১১:৩৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
ইবি সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবের সঙ্গে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মতবিনিময় উত্তরায় খালেদার বহরে হামলা না হলেও মামলা, আসামী এক বিএনপি নেতা সরমান’ সিন্ডিকেটে জিম্মি যমুনা লাইফ! মিথ্যা মামলায় যুবককে ফাঁসানোর অভিযোগ এস আই দোলোয়ারে বিরুদ্ধে পিডিবি ফারুক আহমেদ শতকোটি টাকার দুর্নীতি অনৈক্যের কারণে ফ্যাসিবাদ যেনো ফিরে আসতে না পারে তাই সচেতন থাকতে হবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ড পুনর্গঠন তুরাগে বিএনপি নেতার প্রতিবাদ সভা মঞ্চে ও শ্রোতা অধিকাংশই আওয়ামী লীগের এলজিইডির লিফট চুরির ঘটনার নতুন মোড় ! বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা!
গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার!

গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার!

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী যেখানে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই সেখানে দিব্যি পাঁচ বছর কাটিয়ে দি”েছন শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। সারা দেশে গণপূর্তের যেখানে কোনো প্রকল্প নেই সেখানে সংসদে একের পর এক প্রকল্পের উপরি কামাইয়ের লোভ সংবরণ করতে পারছেন না মোয়াজ্জেম হোসেন। আর এখানে তার অধীনেই ঠিকাদারী কাজ করেন তার আপন ভাই মনোয়ার হোসেন। যে কাজগুলো সবচে’ লোভনীয় অথবা যা না করেই বিল তোলা যায় তেমন কাজগুলোই করা”েছন তার ভাইকে দিয়ে।

জাতীয় সংসদের স্পিকারের পিএস কামাল বিল্লাহ ও চিফ হুইপের পিএস জিলানীকে ম্যানেজ করেই টিকে রইছেন তিনি। এখন তিনি ধরেছেন গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর পিএস হুমায়ুনকে। বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা ও অযোগ্যতার কারনে প্রমোশন না হওয়া এই হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই না-কি মোয়াজ্জেমের বাড়ি। আর তিনিই নিচ্ছেন তাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব।

২৪তম বিসিএস এর প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে। সে সময়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করা হয়। তার ¯’লাভিষিক্ত হয়েই নিজ ভাইকে নিয়ে আসেন ঠিকাদারীতে। সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিনের সঙ্গে মিলে ভাই ও শ্যালকদের ঠিকাদারীদের কাজে লাগিয়ে প্রায় এক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনিয়মের কারনে সেই রোকন উদ্দিনের চাকরি চলে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও চিফ হুইপের দপ্তরের সাপোর্ট পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠা মোয়াজ্জেম তার উপর¯’ ও অধীন কোনো কর্মকর্তাকেই পাত্তা দিচ্ছছেন না। ইচ্ছেমতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সংসদে কর্মরত দু’একজন সাংবাকিদকে ম্যানেজ করেই তার দুর্নীতি ধামাচাপা দিচ্ছেন। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে নিয়মিত ‘নানা কিছু সাপ্লাই’ দিয়ে ম্যানেজ মাষ্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বদলি হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই মোয়াজ্জেম। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিস্ট কিছু অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

অবৈধভাবে জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করার বিষয়টি আবারও তদেেন্ত উঠে এসেছে। তাঁর লুটপাটের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে। সে পর্যন্ত দেখার বিষয় গণপূর্ত মন্ত্রীর পিএস হুমায়ুন তাকে রক্ষা করতে পারেন কি-না?  এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »