৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১০:৩৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
পিরোজপুরের বৈঠাকাঠা ডিগ্রী কলেজের ট্যাকনিক্যাল শাখায় গোপনে কম্পিউটার অপারেশন পদে প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
২০০৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী রাফিজা পারভিনকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১০ সালে কলেজটির ট্যাকনিক্যাল শাখা এমপিও ভুক্ত হলে কলেজের অধ্যক্ষ কোন প্রকার নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে রাফিজা পারভিন নামের উপড়ে সাদা কালি ব্যবহার করে মোঃ আজাদের নাম লিখে দিয়ে ট্যাকনিক্যাল শাখার কম্পিউটার প্রভাষক পদে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিও ভুক্ত করেন।
এ ঘটনায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর কারিগরি শাখার কম্পিউটার প্রভাষক পদে এমপিও করণে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেন রাফিজা। পরে নিজ অভিযোগ প্রত্যাহার করে চাকরি থেকে অব্যহতি দেন তিনি।
এবিষয়ে মোঃ আজাদ জানান, ২০০৫ সালে তিনি যোগদান করেন। রাফিজা পারভিন তখন এই পদে নিয়োগ পান কিন্তু কলেজে অনিয়মিত হওয়ায় এমপিও ভুক্ত হবার আগেই কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ব্যপারে রেজুলেশন করে তাকে অব্যহতি দেয়। ওই নিয়োগ পরিক্ষার ২য় স্থাণ নিয়ে তিনি কলেজের কম্পিউটার প্রভাষক হিসাবে পাঠদান করান। ২০১০ সালে ট্যাকনিক্যাল শাখা এমপিও হলে কলেজের গভর্নিং বডি রেজুলেশন করে তাকে কম্পিউটার প্রভাষক পদে মনোনীত করে এমপিও ভুক্ত করেন। তার নিয়োগ নিয়মবহির্ভূত নয় বলে দাবি করে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ নিখিল চন্দ্র আচার্য মুঠোফোনে জানান, রাফিজা পারভিনকে কম্পিউটার প্রভাষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তার স্বামী ঢাকায় চাকরিতে থাকায় সে অব্যহতি দেয়। তাই রাফিজার স্থাণে ওই নিয়োগ পরীক্ষার ২য় স্থাণ অধিকারী মোঃ কালামকে নিয়োগ দেয়া হয় এবং এমপিও তালিকায় তার নাম দেয়া হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে কেউ কোন পদে যোগদান করে যদি দুই দিনও চাকরি করে অব্যহতি দেয় সেক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ দিতে হলে ওই পদটি শূণ্য দেখিয়ে পূনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ দিতে হয়। এ বিষয়ে স্বাক্ষাতে কথা বলতে হবে।
Leave a Reply