২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:১৮ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার
এই শিরোনামে চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকাতে খবর প্রকাশিত হয়েছে।খবরটির কোন আশ্চর্যের বিষয় নয়।কারণ বিগত জেলা সম্মেলনের পর উনাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়নি বা উনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্ততপক্ষে ১০ জন নেতার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে জানা যায় জেলার আওয়ামী লীগের নেতারা সর্বপর্যায়ের কর্মীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। তবে একথাও সত্য যে আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের কিছু নেতা তাদের সীমাহীন দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজন প্রীতি, খারাপ ব্যবহার, চোরাকারবারি, হাট বাণিজ্য ইত্যাদি কারণে তারা পলাতক রয়েছে। তারা কোথায় পালিয়েছেন এই খবরও কারো জানার আগ্রহ নেই। বিরোধী দলের আক্রোশের কথা বাদই দিলাম নিজের দলের আক্রোশের শিকার হবেন চুয়াডাঙ্গা এক ও দুই আসনের এমপি সহ যারা নেতা হিসেবে দাবী করে আসছিলেন এতদিন। এই সমস্ত পলাতক নেতারা নিজেদের আখের গুছিয়ে নিরাপদ আশ্রয় রয়েছেন তারা সাধারণ নেতা কর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন না কথাটি সত্যি।আশ্চর্য হলেও সত্য যে সাধারণ কর্মীরা ও সাধারণ নেতারাও চাচ্ছেন না ওই সমস্ত দুর্নীতিবাজ নেতারা তাদের খোঁজ নিক।আকাশ খবর পত্রিকার নিউজের মাধ্যমে জানতে পারলাম আজাদুল ইসলাম আজাদ রাজনীতি করবেন না। উনি কবে রাজনীতি করেছেন ? প্রশ্নটি একজন সাধারন কর্মীর।উনি বিগত ২০ বছর আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এই ২০ বছরে উনি ২০ টি কর্মীও তৈরি করতে পারেন নাই, সুতরাং উনার রাজনীতি করা বা ছাড়ার ভিতরে কোন পার্থক্য নেই, আমি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে মনে করি উনি অযোগ্য ও অপদার্থ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কথাগুলো আমার না কথাগুলো সাধারণ কর্মীদের এই মুহূর্তে কারো নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে অবশ্যই তারা নাম পরিবর্তন করবেন।
এবার আসি নেতারা সাধারণ কর্মীদের খোঁজ নিচ্ছেন না – জেলা নেতৃবৃন্দ যারা ছিলেন তারা যাদেরকে প্রতিপক্ষ মনে করে দল থেকে দূরে রেখে দলকে কুক্ষিগত করে নিজেরা লুটপাট করে খেয়েছেন তারা খোঁজখবর করছেন না কথাটি সত্য। কিন্তু যারা দলের আদর্শের রাজনীতিবিদ তারা ঠিকই প্রতিদিন ইউনিয়নে প্রতিটা গ্রামে কর্মীদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।
দিলীপ কুমার আগরওয়াল সোনা চোরাকারবারি অথবা রাজ্জাক খান তারা তো কোনদিন আওয়ামী লীগ করেন নাই, কেন তারা জীবনে ঝুঁকি নেবেন?তারা হলেন অলয়েজ সরকারি দলের লোক। কারণ তাদের ব্যবসা চালাতে হবে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ইতিমধ্যে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দল ত্যাগ করেছেন? উনি কি কখনো আওয়ামী লীগ করেছেন? বিগত জেলা কমিটির অনেক সহ-সভাপতি রয়েছেন কেউ যুবদল করতেন কেউ ফ্রিডম পার্টি করতেন কেউ জাসদ করতেন। তারা কেন এই দুঃসময়ে জীবনের রিস্ক নেবেন? পরিচয় গোপন কারী নিবেদিত প্রাণ নেতা কর্মীদের কথা এ গুলো।
এই জেলার অনেক যোগ্য নেতা রয়েছেন যারা দুর্নীতিবাজদের সাথে রাজনীতি করেন নাই বা করবেন না। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে অবশ্যই তারা রাজনীতি মঞ্চে আসবেন এটাই স্বাভাবিক আজাদুল ইসলাম আজাদ নেত্রী কতৃক বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত শুধুমাত্র অযোগ্যতার কারণে। কবে আওয়ামী লীগ করেছেন আজাদ? ছাত্রজীবনের কমিউনিস্ট পার্টি, তারপর আওয়ামী লীগ, বাকশাল, আবার আওয়ামী লীগ -সুতরাং ওনার দল করা না করাতে সাধারণ কর্মীদের ভিতর কোন প্রতিক্রিয়া নাই । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রায় সব নেতা কর্মীর মূখে একই কথা শুনা যাচ্ছে ।
Leave a Reply