৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৭:১৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের নামে আর একটা কারসাজি করতে পারলে জনগণের দুর্ভোগ আরও বেশি নেমে আসবে। সময় এখনই লড়াই করবার। চূড়ান্ত আঘাত এখনই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সিভিল রাইট্স সোসাইটি-(বিসিআরএস) এর উদ্যোগে, দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ সকল মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে মাত্র ৪টা পত্রিকা রেখে সব বন্ধ করে দিয়েছিল। শেখ মুজিবের বাকশালকেও হার মানিয়েছে হাসিনার বাকশাল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এরা মিথ্যুক গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকলে মিথ্যা বলা ছাড়া আর উপায় কি। এই সরকার দিন কালকে বন্ধ করে দেবে এটা তো খুবই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনা বলেন আমি কারচুপির নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। এই ৪২০ সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে লাভ নাই। এরা মিথ্যুক এরা ভণ্ড এরা প্রতারক এরা ডাকাত এরা সারা দেশের মানুষের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। এখনই সময় এসেছে রাজপথে আসুন। সমস্ত দলগুলোকে একই দাবিতে একই সময় আন্দোলন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতই তালি বালি করেন ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দেবেন সেটা হবে না। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে দেশ চালাচ্ছে সেই দেশ কি রকম চলতে পারে।’
গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন না হবে ততদিন পর্যন্ত কোনো দাবি আদায় হবে না। এই সরকার একের পর এক যে গণবিরোধী কার্যক্রম করছে মানবতার বিরোধী কাজকর্ম করছে তাতে দেশ ছেড়ে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। পিতার মত কার্যক্রম অনুসরণ করে মাত্র কয়েকটি পত্রিকা রেখে আর সব বন্ধ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ দিন আন্দোলন করলে শেখ হাসিনার খবর থাকতো না। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাবই। এই সরকার ১৮ সালে ভোট ডাকাতি করে গণতন্ত্রের গায়ে কালি লাগিয়েছে। এই সরকারের আমলে দেশের জনগণ কেউ নিরাপদ নয়। আসুন এখনো সময় আছে শেখ হাসিনার বাকশালী কায়দাকে প্রতিহত করে গণতন্ত্র উদ্ধার করি। এখন আমাদের কাজ এই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানোর জন্য জনগণকে একত্র করা।’
সংগঠনের সভাপতি মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে গণধিকার পরিষদের সদস্য সচিব জনাব নুরুল হক নুর, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ,জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গর আলম প্রধানসহ প্রমুখ।
Leave a Reply