৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৯:২৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
আজিজুর রহমান বাবু, জেলা সংবাদদাতা, শরীয়তপুর: জীবন প্রবাহে রাজনৈতিক চর্চা হয় বেশীরভাগ আবেগপূর্ণ। অমুক ভাই তমুক মার্কায় প্রচারণায় জড়িত আছেন, ব্যস-কোন কথায় নাই,পাবলিক তারি সাথে সহযাত্রী হয়ে শ্লোগান ধরবেই – এটাই বাঙ্গালীর চিরাচরিত চরিত্র। আমরা কখনো প্রার্থীর যোগ্যতা দক্ষতা যাচাই করিনা। উপরের বেশভূষা আর চাপাবাজীতে আকৃষ্ট হয়ে নিজকে উত্সর্গ করে ফেলি।
সময় বদলায় – সাথে সাথে মানুষের দৃষ্টি ভংগী, চিন্তা চেতনা বদলায়। বদলায় প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি। সর্বোপরি জনগণ কিন্তু একওজন পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বকেই পছন্দ করেন । যিনি সরকারী সাহায্য সহযোগিতা করতে না পারলেও তৃনমূল পর্যায়ে কর্মীদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ কুশলী আচরণ দিয়ে মন জয় করতে পারবেন । আসলে শিষ্টাচারের শুদ্ধ প্রয়োগ কয়জন প্রার্থীর রয়েছে ? পারিবারিক শিক্ষা যেসব প্রার্থীর অভাব রয়েছে, তাঁদের কাছে এমনটি আশা করা, নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
আমরা দেখেছি – ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে হুমায়ুন মোল্লা দুই দুই বার জয়ী হওয়ার পরও জনগণের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেননি। একজন অপরিহার্য রাজনৈতিক সেবক হিসেবে নিজেকে গড়তে তুলতে পারেননি। এটা তাঁর ব্যর্থতা হলেও হতে পারে ।
তিনি একাধারে সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি গুরুদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি কী ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন ? নাকি ক্ষমতার অপব্যবহারে দেহমন ক্লান্ত হয়ে গেছে ?…. জনগণ কেন নাখোশ হবেন ? কেন এত্ত অভিযোগ জমা হবে ?… মাঝে মাঝে উত্তর খুঁজে পাইনা। চক্ষু লজ্জা অথবা সামাজিক সন্মানের দিকে তাকিয়ে কেউ হয়তো বলেন না । তবে অগোচরে নেতিবাচক সমালোচনায় ব্যস্ত তারই বিশ্বস্ত অনুসারীরা – এই খোঁজ কী তিনি রাখেন?
দেখা গেছে – মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘ দিনের সমর্থকরা হতাশ হয়ে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন, যা চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বটে । তৃনমূল রাজনীতিতে দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ আর রাজনৈতিক দর্শনে সিদ্ধহস্ত হুমায়ুন কবির মোল্লার অগ্নিপরীক্ষা হবে -আগামীর উপজেলা নির্বাচনে। তাঁর দাম্ভিকতা পূর্ণ আচরণ জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ফুঁসে উঠতে পারে নিজের রাজনৈতিক সংগঠন।
প্রসংগক্রমে বলা যায় – একজন প্রার্থী সবসময় সবার চোখে জনপ্রিয় থাকতে পারেন না – সবসময় ব্যালেন্স করে চলতে হয়। ভুল হলেই ঘটে বিপত্তি। দূরত্ব সৃষ্টি হয় নেতা আর কর্মীর মধ্যে, দিতে হয় রাজনীতিতে খেসারত । ইতিহাস সেটাই বার বার সাক্ষ্য দেয়।
জনমনে রিউমার উঠেছে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লার এগেইনষ্টে যেই প্রার্থী হউক – তাঁকে জনগণ নিজের পয়সা খরচ করে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী করবে “। বিক্ষিপ্ত কিছু মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য জনপ্রিয়তার মানদণ্ড নয়।
ভোটারদের নিরবিচ্ছিন্ন আবেগ যেদিকে গড়িয়ে যাবে পাল্লা সেদিকেই ভারী হবে- এটাই শতভাগ সত্যি। জনগনের বিপক্ষে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে সূষ্ঠ ভাবে ভোটারদের ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে জনগন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারবে – আগামীর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।গনতান্ত্রিক চর্চায় জনগণ নিজকে সংপৃক্ত করতে চায়। ফিরে পেতে চায় পূর্ণ ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা।
তবে এবারের উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমজনতা নড়ে চড়ে বসছেন – তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। প্রার্থীদের জনসংযোগে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও অংশগ্রহণ সেটাই প্রমাণ করে।
ইতিমধ্যে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন অত্র জনপদের প্রভাবশালী বকাউল পরিবারের মেধাবী সন্তান, বুয়েট ছাত্রলীগের তুখোড় ছাত্রনেতা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, পরোপকারী, আমজনতার আস্থাভাজন সেবক ” ইন্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম “। দিনকে দিন জনপ্রিয়তার দিকে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা যদি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সঠিক অবস্থানে ধরে রাখা যায়, তবে সকল হিসেব নিকেশকে পাল্টে দিতে পারে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
Leave a Reply