1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
জুস খেয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা, শুকিয়ে গেছেন ‘কাদের ভাই’ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ২:০৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জোরালো থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলে ব্যাবসা দাবী ব্যাবসায়ীদের শ্যামপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন সহ আটক এক প্রতারক হারিজের কারখানায় ভেজাল সার উৎপাদনে বহাল,খুঁটির জোর কোথায়? মোহনপুরে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের পরিকল্পনা সভা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম আবারো  ঢাকায়! লন্ডনে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই ইউকে, ইষ্ট লন্ডন শাখার প্রতিবাদ সভা কেরানীগঞ্জ খোলামোড়া লঞ্চঘাট টার্মিনাল টোল মুক্তির দাবিতে মানব বন্ধন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন আজ ডিপিডিসির ৬ কর্মকর্তা দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে
জুস খেয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা, শুকিয়ে গেছেন ‘কাদের ভাই’

জুস খেয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা, শুকিয়ে গেছেন ‘কাদের ভাই’

স্টাফ রিপোর্টার: 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পার্শ্ববর্তী ইসলামনগর এলাকাটি ‘হল রোড’ নামে পরিচিত। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন কিছু চা ও জুসের দোকানি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে অনেক জনপ্রিয় ‘কাদের জুস কর্নার’ নামের দোকানটি। দোকানের মালিক আব্দুল কাদের খান শিক্ষার্থীদের কাছে ‘কাদের ভাই’ নামে বহুল পরিচিত। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাকি খাইয়ে এখন নিঃস্ব তিনি। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে তাঁর পাওনা প্রায় ২ লাখ টাকা।

কাদের খান (৩০) জানান, শিক্ষার্থীদের বাকি খাওয়ার কারণে দোকান চালানো আর সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা বাকি পড়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকে ক্যাম্পাসে আছেন আবার অনেকে পড়ালেখা শেষ করে খুলনা ছেড়ে চলে গেছেন।

২০১৯ সালে আব্দুল কাদের খুবির পার্শ্ববর্তী হল রোডে ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর দোকান স্থানীয় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং পথচারীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে ক্রমাগত বাকি পড়তে পড়তে আর্থিক সংকটে পড়ে দোকানটি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এই যুবক। গত সোমবার রাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে শিক্ষার্থীদের কাছে জানিয়ে লিখেছেন, ‘আপনাদের যাদের কাছে আমি টাকা পাব, দয়া করে আপনারা টাকাগুলো দিয়ে দেন। আমি খুব অর্থসংকটে দিন কাটাচ্ছি।’

কাদের জানান, তাঁর পুরো পরিবার এই দোকানের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। কাজের সূত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই ভাড়া থাকেন তিনি। নিয়মিত খরচ তো রয়েছেই, পাশাপাশি বউ, বাচ্চাসহ তিনজনের সংসার। দৈনন্দিন খরচ জোগাতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাঁর।

এদিকে গতকাল রাতে এ খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘আমাদের হল রোডের কাদের ভাইয়ের আকুতিটা দেখে অনেক খারাপ লেগেছে। এই মানুষগুলা আমাদেরই একেকটা অংশ, আজকে আমাদের জন্যই তাঁরা অসহায় হয়ে গেছেন। তিনি যাঁদের কাছে বাকি টাকা পাবেন, তাঁদের উচিত কাদের ভাইকে তাঁর পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়া।’

সবা:স:জু- ৪৯১/২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »
error: Content is protected !!