৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:১৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার কাওরান বাজারে অবস্থিত টিসিবি ভবনের ৭ম তলায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ পরিদপ্তর রেজিষ্ট্্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস (আরজেএসসি) যেখানে লিমিটেড কোম্পানী, পার্টনারশিপ ফার্ম, সোসাইটি ইত্যাদি রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। এবার অত্র পরিদপ্তরের রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান (এনডিসি) অতিরিক্ত সচিব এর বিরুদ্ধে ভয়াবহ ঘুষ- দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, প্রত্যেকটি ফাইলের বিপরীতে মোটা অংকের ঘুষ না পেলে এ অফিসের কোন ফাইল নড়ে না।
২০২৪ সালের প্রথম দিকে মিজানুর রহমান অত্র অফিসে যোগদানের পর থেকে অফিসটিতে ঘুষ দুর্নীতির মাত্রা
চরম আকার ধারণ করে এবং এ অফিসে বহিরাগত দালাল শ্রেণীর লোকদের দে․রাত্ম অনেক বেড়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে কোম্পানী আইনজীবীদের একমাত্র রেজিষ্টার্ড সংগঠন ”বাংলাদেশ কোম্পানী ল’ প্র্যাকটিশনারস্
সোসাইটির পক্ষ থেকে অত্র অফিস থেকে অননুমোদিত ব্যক্তি ও দালালদের নির্মূল করতে এবং বৈধ ও আইনগত প্রতিনিধিদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে বারবার উক্ত রেজিষ্ট্রারের সাথে মৌখিক ও লিখিতভাবে
আবেদন জানালে রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমান এতে কোন প্রকার কর্ণপাত না করে বরং দালালদের সাথে গোপন
বৈঠাক করে ও তাদের সাথে আতাঁত করে নির্বিঘ্নে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কোম্পানী আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তার সাথে বারবার বৈঠাক করার জন্য আবেদন নিবেদন করেও আইনজীবীরা তার সাথে বৈঠাক
করতে ব্যর্থ হন।
অভিযোগ উঠেছে, এ অফিসে যোগদানের পর থেকেই উক্ত রেজিষ্ট্রার অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্য
বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এবং ঘুষ বৃদ্ধি করার নানা ফন্দি বের করেন। সে লক্ষ্যে ছোট বড় সব ফাইল রেজিষ্ট্রার পর্যায় ব্যতীত নিষ্পন্ন হবে না মর্মে তিনি ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে একটি নোটিশ জারি করেন এবং সকল
ফাইল তার কাছে নিয়ে আসেন। যার ফলে অফিসের কাজের গতিশীলতা হারায় এবং ফলশ্রুতিতে স্টেক হোল্ডারগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
অভিযোগ উঠেছে, টাউট-দালালদের সাথে আতাঁত করে মিজানুর রহমান, হাজারো ডিভিসি ফেল এমন কোম্পানীর ফাইল প্রত্যেকটিতে ২-৩ লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ করে বেআইনীভাবে রেকর্ডভুক্ত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি রিভিউ আবেদনকৃত কোম্পানী, সোসাইটির নামের ছাড়পত্র দিতে
তিনি ১০-২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন।
গত ৩০ মে ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ কোম্পানী ল’ প্র্যাকটিশনারস্ সোসাইটির কতিপয় আইনজীবী আরজেএসসিতে গিয়ে বেশ কিছু টাউট-দালালের উপস্থিতি লক্ষ্য করলে আইনজীবীরা টুটুল নামের একজন
চিহ্নিত দালালকে হাতে নাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরদিন ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখে কোম্পানী আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ
আরোও কিছু মিথ্যা অভিযোগ এনে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোম্পানী ল’ প্র্যাকটিশনারস্ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, আরজেএসসির বর্তমান রেজিষ্ট্রার মিজানুর রহমানের যাবতীয় অপকর্মের বর্ননা দিয়ে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আমাদের আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে গত ২৭/০৬/২০২৪ ইং তারিখে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও বাণিজ্য সচিব বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছি। সঠিক তদন্তপূর্বক দুদক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করি। এ বিষয়ে মিজানুর রহমানের সাথে বার বার যোগাযোগ ও খুদেবার্তা পাঠিয়ে কোন মন্তব্য পাওযা যায়নি তবে সরকারি রেজিস্ট্রার উনার ফোন দিয়েই প্রতিবেদনকে বলেন স্যার মিটিং কিন্তু সকাল থেকে রাত হলেও মিটিং শেষ হয়নী তাই। (চলবে)
Leave a Reply