1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  3. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
ঝিনাইদহের একটি রাস্তা এখন ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কান্না - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । ভোর ৫:২৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

ঝিনাইদহের একটি রাস্তা এখন ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কান্না

ঝিনাইদহের একটি রাস্তা এখন ৭ গ্রামের মানুষের ভোগান্তির কান্না

 

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর বাওর (বন্ধ) জল মহলের দক্ষিণ পাশ দিয়ে রাস্তাটি কেটে দেয়ার ফলে সাত গ্রামের মানুষের দুঃখ কষ্ট এবং চরম ভোগান্তির কান্না হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে একসময়ের নবগঙ্গা নদীর প্রবাহমান স্রোতধারা চাঁদপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইউ টার্ন হয়ে পুনরায় সোজা হয়ে প্রভাত প্রবাহিত হয়ে যায়। নদীর এই ইউট্রেন বাকের ফলে এই অঞ্চলের সাত গ্রামের মানুষের ঝিনাইদহ শহরে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ে। মানুষের এই জনদুর্ভোগের কথা সরকার বিবেচনা করে নদীর প্রবাহমান স্রোতধারার উপর একটি রাস্তা নির্মাণ করে এবং জন মানুষের কয়েক বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে ১৯৭৯ সালে নদীর স্রোতধারা সোজা করে দেয়।

এই রাস্তা নির্মাণের ফলে চাঁদপুর ইউনিয়ন ও দৌলতপুর ইউনিয়নের হামেরহাটি, যাদবপুর খালকুলা ,দারিয়াপুর ,পৈলানপুর ও রূপদাহ এই ৭ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝিনাইদহ শহরে পল্লী বিদ্যুৎ হাসপাতাল এবং আদালত সহ বিভিন্ন স্থানে অতি সহজে যাতায়াত করত। শুধু তাই নয়, এই গ্রামগুলোর মানুষের শত বিঘা জমি চাষাবাদ করতো। এই গ্রামগুলিতে রয়েছে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টা কমিউনিটি ক্লিনিক।

এই বছরের শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে এই জলমহলের দক্ষিণ পাশে রাস্তাটি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ভেকু দিয়ে অপসারণ করে দেয়। জেলা প্রশাসকের এই রাস্তাটি অপসারণ করে দেয়ার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের চরম ভোগান্তির কান্না হয়ে দাঁড়ায়। ঝিনাইদহ জেলা শহরে যেতে হলে এখন তাদের আরো ৫ কিলোমিটার রাস্তা অধিক পাড়ি দিতে হচ্ছে। যেখানে তারা ঝিনাইদাহ শহরে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিলেই পৌঁছাতে পারতো এখন তাদের ঝিনাইদহ শহরে যেতে হচ্ছে ৯ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলের মানুষের প্রায় শতাধিক বিঘা জমি চাষ করতে আসতে হচ্ছে ১২/১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এই রাস্তা নির্মাণের ফলে একটি জলমহল সৃষ্টি হয়েছিল যাহা থেকে দেশের রাজস্ব খাতে প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা জমা হতো। জল মহলে প্রতিবছর জেলেরা প্রচুর মাছ উৎপাদন করত যাহা দেশের পুষ্টির চাহিদা পূরণে ব্যাপক অবদান রাখতো। এই অঞ্চলের প্রায় ৫০ টি পরিবারের অর্থ উপার্জনের স্থান হয়ে উঠেছিল এই জলমহলটি। এই রাস্তায় জনমানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি সেতু নির্মাণ করে দেন। যাহা এখন হাস্যরসের বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাটি অপসারনের ফলে এখন ৭ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তির কান্না হয়ে উঠেছে।

বাওড়পাড়ের এই রাস্তা দিয়ে ওপারে চাষ করেন চাঁদপুর গ্রামের নজির বিশ্বাস, শাহাদত, ফজলু, হায়দার, জাহিদ, রেজাউল, জমির বালিথা, সরোয়ার সহ অনেকে শুধু চাঁদপুর গ্রাম নয় হামেরহাটি গ্রামের বজলু নান্নু পিন্টু ও মকবুল বিশ্বাস এবং পৈলানপুর গ্রামের ওমর আলী সহ ৭/৮ জন এবং রুপদা গ্রামের বাহারসহ ৫-৬ জন কৃষক চাষাবাদ করেন।

এই গ্রামগুলোর কৃষকরা জানায় আমাদের এখন ওই জমিগুলো চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে এই জমিগুলো এখন আমাদের হয় বিক্রি করে ফেলতে হবে নইলে ফেরে রাখতে হবে।

এই প্রসঙ্গে চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল আহমেদ দাবি করেন যে এই রাস্তাটি পুনঃনির্মাণ অতি জরুরী। যার মাধ্যমে আমার ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ অতি সহজে ঝিনাইদহ যেতে পারবে এবং এই বাওড়ে মাছ উৎপাদন হলে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এই রাস্তাটি কাটার ফলে জনগণের ব্যাপক অসুবিধা। জেলা প্রশাসক অপরিকল্পিতভাবে কিছু মানুষের উস্কানিতে এই রাস্তাটি কেটে দিয়েছেন। যাহা এখন জনসাধারণের ব্যাপক জনদুর্ভোগ এর কারণ হয়ে উঠেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »