২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১:৩০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার: শাহজালাল বিমান বন্দর কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলার অভিযোগ উঠেছে প্রিন্ট ইলেকট্রিক মিডিয়া বিষয়টি ভাইরাল। অপরাধীর অপরাধ আমলনামা উন্মোচনের উদ্দেশ্যেই মামলা করেছে দুদক। তথ্যসূত্রে জানা যায় ২০১০ সালে কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসে শাহজাহান মিয়া। কাজ শুরু হয় মাত্র ৮০০০ টাকা বেতনে ঢাকা কাস্টম ট্রলিম্যান হিসাবে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়ে যায়, বিতর্কিত শাহাজাহান মিয়া। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই আওয়ামী লীগ ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর বিমানবন্দর আলাদিনের চেরাগের মতো এয়ারপোর্ট দুই নাম্বারি সব কাজ নিয়ন্ত্রণ চলে আসে শাজাহানের। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন তার মূল সহকারী ছিলেন বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন। তার নামে স্বর্ণ চোরা চালানের অভিযোগ উঠে। দক্ষিণখানের ২৬/১, ইসলাম বাগ, হলান রোডে গড়ে তোলেন সিনথিয়া এন্ড সিলাভিয়া কটেজ নামে দশ তলা বাড়ি। তাছাড়া রাজধানীর উত্তরা ১ নং সেক্টরে, আসিয়ান সিটিতে কয়েকটি ফ্লট রয়েছে। গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ফুল সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে রাজকীয় ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করে। জামিয়া এলাকায় আছে এক বিঘা জমির উপর পুকুর এবং গ্রামের বাড়িতে সিনথিয়া কটেজ নামের ছয় তলা হয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে ১৫ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলা হলে লোক ভাড়া করে মানববন্ধনের আয়োজন করে ম্যানেজার আলামিন। প্রতারক শাহজাহান মিয়ার অপরাধ চাপা দিতে মরিয়া তিনি। শাজাহান সাধু ব্যক্তি হিসাবে তুলে ধরতে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করে এয়ারপোর্ট এলাকায়। জানাগেছে মো: শাহজাহান দীর্ঘ বছর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সি এন্ড এফ এর ব্যবসা জড়িত থেকে অসৎ উপায়ে পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তাকে আইনের আওতায় এনে তদন্ত পূর্বক সুস্থ বিচারের দাবি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সি এন্ড এফ ব্যবসায়ীদের। এবিষয়ে তার মন্তব্য জানতে ফোন করা হলে সে বিজি আছেন বলে কল কেটে দেন এর পর বার বার কল দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি। (চলবে)
Leave a Reply