১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ১০:৫৪ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার॥
মাঠে দায়িত্ব পালনকালে কোনো ট্রাফিক সার্জেন্ট ও সদস্য চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায় নিতে হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনারের স্বাক্ষরে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয় ডিএমপির লালবাগ, ওয়ারী, রমনা, মতিঝিল, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা বিভাগের ট্রাফিক উপ-কমিশনারদের কাছে (ডিসি)।
ওই দিনই রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে রমনা ট্রাফিক বিভাগের শাহবাগ জোনের সার্জেন্ট জাফর ইমাম, ওয়ারী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারসহ মোট ১০ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
আর মৎস্য ভবন মোড়ে রাত্রিকালীন ট্রাফিক ডিউটি করার সময় মালবাহী ট্রাক ও পিকআপ থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ট্রাফিক সদস্যদের বিরুদ্ধে। ক্লোজ করা হয় কনস্টেবল মোজাম্মেল হক ও মো. রাজু হোসেনকে।
ডিএমপির কমিশনারের চিঠিতে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের দায়িত্ব পালনকালে অনৈতিক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ এবং এর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, যা এই বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
ট্রাফিক বিভাগের যেসব সদস্য বিভিন্ন ইন্টারসেকশনে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন, তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না তা নিয়মিত কঠোরভাবে তদারক করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয় চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে ট্রাফিক সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনৈতিক ও দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), সহকারী কমিশনার (এসি) এবং ট্রাফিক পরিদর্শককে (টিআই) এর দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট তদারকিতে গাফিলতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার এসিআরে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনারদের (ডিসি) এ ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনারের চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে লালবাগ ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমরা নির্দেশনামূলক চিঠি পেয়ে থাকি। সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি। ঈদ উপলক্ষে কমিশনার স্যারের একটি নির্দেশনামূলক চিঠি পেয়েছি। আমরা এটা মেনে চলব।’
মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মইনুল হাসান বলেন, ‘একজন সুপারভাইজিং অফিসার কোনো নিম্নপদস্থ কর্মীর দায় এড়াতে পারেন না। এমন চিঠি আমরা বিভিন্ন সময়ে পেয়ে থাকি। এ ছাড়া কমিশনার স্যার বিভিন্ন সময়ে বিফ্রিংয়েও বলে থাকেন।’
Leave a Reply