৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:৫০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মাসুদ মিয়া,তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শাহীনুর আলম ইকবাল হত্যা মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে জামিনপ্রাপ্ত আসামি ও তার আত্মীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা (টানপাড়া) গ্রামের শাহীনুর আলম ওরফে ইকবাল (১৯) হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে আসার পর মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম মিয়া (৩৫)কে প্রকাশ্যে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
গত ২৮শে জানুয়ারি পৌনে ১টায় বাদী সেলিম আাসামি আব্দুল হেলিমের বাড়ির সামনে দিয়ে মসজিদে আসার পথে আসামি আব্দুল হেলিম ও তার মেয়ের জামাতা আব্দুল কাইয়ুমসহ ময়মনসিংহ শহর হতে আসা অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন বাদীর পথরোধ করে মারপিট করতে উদ্যত হয়। তখন আসামি আব্দুল হেলিম প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে বাঁচতে চাইলে মামলা তুলে আন। মামলা তুলে না আনলে, ছোট ভাই ইকবালের মতো তোকেও শেষ করা হবে।
এ ব্যাপারে সেলিম মিয়া বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় গত (২৮শে জানুয়ারি)২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
উল্লেখ্য,শাহীনুর আলম ইকবাল(১৯)ময়মনসিংহের রুমডো পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল ও তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া পলাশকান্দা টানপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুর রউফ এর পূত্র।সে তার নিজ বাড়ী হইতে রাতের খাবার খেয়ে চা খাওয়ার কথা বলে পাশের দোকানে গিয়ে নিখোঁজ হয় এবং খোঁজাখোঁজির পর তার বাবা তারাকান্দা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
সেই ডায়েরী করার ৫ দিন পর একটি হাউজি খেলার মাঠের পার্শ্ববর্তী বাড়ীর বাঁশ ঝাড়ের জঙ্গলের ভিতর দুর্গন্ধের সূত্র ধরে বাড়ীর একজন মহিলা পরিবারকে খবর বলে তখন পরিবারের লোকজন পাড়া প্রতিবেশী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ পরিত্যাক্ত লেট্রিনের চাকের ভিতর থেকে ময়লাযুক্ত ইকবালের ঘুম করা লাশ উদ্ধার করেন।
উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টসহ লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে পৌছে দেয় এবং ইকবালের জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখনও পলাতক রয়েছে একাধিক আসামী।
এ নরকীয় নৃশংস ইকবাল হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছেন তার পরিবারসহ এলাকাবাসী।
Leave a Reply