২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৪:২৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মোবাইলে নগ্ন ভিডিও দেখাতে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত হয়েছে এক বখাটে যুবক। আর এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ত্রিশাল কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোফাজ্জল হক ও তার পরিবারকে হয়রানি ও লাঞ্চিত করার চেষ্টা করছে একটি কুটক্রিমহল মহল৷ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ আগষ্ট বিকালে। ঘটনার সময় বহিরাগত এক যুবক শামীম (১৫) মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দর মোবাইল থেকে ছাত্রদের নগ্ন ভিডিও দেখাচ্ছিলো। ঘটনাটি স্থানীয় জনগন ও মাদ্রাসার অন্যান্য ছ্াত্ররা দেখে ফেলে এবং বহিরাহত ওই যুবক শামীমকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করে। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে এসে যুবকটিকে উত্তেজিত ছাত্র জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিতসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু ওই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্থানীয় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও তার ছেলেদের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল৷
স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোফাজ্জল হক এই এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ও একজন বিজ্ঞ আলেম ব্যাক্তিত্ব হওয়ায় বিরোধী একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে৷ তারা এই ঘটনার সমস্ত দায়ভার ইমাম ও তার পুত্রদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাকে মসজিদ ও মাদ্রাসার স্বীয় পদ থেকে অপসারণ করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়েছে। আর এ জন্য তারা তিলকে তাল বানিয়ে ফেসবুক ও গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মসজিদের ইমাম ও তার পরিবার এই ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কুচক্রী মহলটি যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছে ইমাম ও তার পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করতে। এই কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহলটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের প্রতিবাদ করতে পারছে না সাধারণ জনগণ। স্থানীয় মুসল্লী ও এলাকাবাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷
তারা বলছেন, মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মোফাজ্জল হককে অসম্মান করে স্বীয় পদ থেকে অপসারণের জন্য একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। শত চেষ্টা করেও তারা কোনভাবেই সফল হতে না পেরে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে পুঁজি করে ইমাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও পেশী শক্তি ব্যবহার করছে৷ এলাকাবাসী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি অনাকাংখীত। এ বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। যেহেতু এটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় সেহেতু স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধ করেছি মিমাংশা করে ফেলার জন্য।
Leave a Reply