২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:৫০ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
রাসেল( ৩০); পিতা: আব্দুস ছোমেদ হাওলাদার; মাতা: লতিফা বেগম; সাং: বড় গালুয়া, গালুয়া বাজার, রাজাপুর ঝালকাঠির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এসেছে রাজধানী ঢাকা শহরের দক্ষিণ খান থানা নিবাসী একাধিক ব্যক্তির মাধ্যমে। তারা জানিয়েছেন, এলাকাকে মাদক আর ছিনতাই মুক্ত রাখতে হলে এই রাসেল গ্যাং মূক্ত করতে হবে সবার আগে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, “চেহারা দেখলে খুব সাধারণ মনে হলেও ভিতরে ভিতরে সে মারাত্মক, আমি নিজেই প্রতারিত হয়েছি। এলাকায় আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে যায় তাদের কোনো ক্ষতি করবে এই ভয়ে ভুক্তভোগী এলাকার একাধিক লোকজন মুখ খুলেন না ঝালকাঠির সন্তান রাসেল ও তার সাথে রযেছে ঝালকাঠী থানার রাজাপুরএলাকার রিপন,বাদল, সাইফুল, রহিম, ইছা গংদের ভয়ে!
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, বড়ো একটা ছিনতাই চক্রের সদস্য ছদ্মবেশী এই ছিনকারী রাসেল ব্রাকের এনজিও কোম্পানির খাদ্য সাপ্লায়ের আড়লে ছিনতাইয়ের মাল ও মাদকদ্রব্য ক্যারিংয়ের কাজ করে। তার রয়েছে একটা কিশোর মাদকাসক্ত ছিনতাইয়ের গ্যাং যাদের ছিনতাই করা মাল সে বড়ো দলের কাছে সাপ্লাই করে। সেই দল ছিনতাইকৃত প্রায় নতুন মোবাইল, লেপটপ থেকে সোনার চেইন আংটি লামছাম দামে নিয়ে পলিশ করে উত্তরা, এয়ারপোর্ট রোডের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে।
এছাড়াও এই রাসেল ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা চালায়। সে রাতভর মামা ফিটিং করে গাড়ীতে তুলে নিয়ে ছিনতাই করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে নির্জন অন্ধকার কোনে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। আরো জানাযায তার সিন্ডিকেট এ মালিবাগ বাজারের কযেকজন ড্রাইভার রযেছে যারা তাকে সয়াযতা করে থাকে যেমন পুলিশী ঝামেলা পরলে মালিবাগ এলাকায এসে আশ্রয় ণিযে থাকে।
উল্লেখ্য যে একদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা তার পাশাপাশি রাজধানীর নাগরিক জীবনে অন্তহীন সমস্যার মধ্যে পরেছে এই ছিনতাইকারী দস্যুদের উপদ্রবে।
খবরে প্রকাশ, ঢাকার অনেক এলাকায় সন্ধ্যা নামলেই মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে এইসব ছিনতাইকারীদের কারণে। কমবেশি প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। ওদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও তা পরিণত হয়েছে যেন ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’তে!
দেখা যায়, ছিনতাইকারীর হাতে কেউ মারা গেলে কিংবা লুট হয়ে যাওয়া টাকার পরিমাণ বেশি হলেই শুধু সেসব ঘটনা আলোচনায় আসে, নইলে নয়।
ওদিকে তথ্য নিয়ে দেখা গেছে এই শহরে প্রতিদিনই ‘ছোটখাটো’ শতশত ছিনতাই হয়, য গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়না বলে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা।
এদিকে পত্রিকান্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও স্বীকার করছেন, ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে গেছে। বলা হচ্ছে, লকডাউন উঠে যাওয়ার পর মানুষের চলাচল ও অর্থনৈতিক কর্মকা- বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনাও। আরও বলা হয় মূলত পেশাদার অপরাধীরাই ছিনতাইয়ে জড়িত। তাদের প্রতিরোধে ঢাকা মহানগরের আটটি অপরাধ বিভাগের সব থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপ সত্ত্বেও ছিনতাই-দস্যুতা দূর হয়েছে বলে দাবি করা যাবে না। এদিকে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো সামনে নির্বাচন, ঢাকা শহরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, এমতাবস্থাতে তাদের সুযোগ বেড়েছে কয়েকগুণ।
রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার তথা জযনাল মার্কেট এলাকার লোকসহ উত্তর খান থানা এলাকার অগণিত লোকজন এই রাসেল গংদের নিপাত ঘটাতে, এলাকা ছিনতাই ও মাদকমুক্ত করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
Leave a Reply