৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সন্ধ্যা ৬:২৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর ব্যস্ততম একটি ভীত ও আতংন্কের নগরীর নাম দক্ষিনখান। সম্প্রতি দক্ষিনখানের গাওয়াইর এলাকায় হাজী মো, তারাজ উদ্দিন নামে জৈনক এক ব্যক্তির উন্মান ঘটেছে। তিনি
গাওয়াইর মাদ্রাসা রোড কল্যাণ সমিতির নাম ব্যবহার করে সমাজ সেবার নামে দিব্যি চালাচেছন হরিলুট। তার নেতৃত্বে চলছে বিএনপি- জামাত শিবির সমর্থিত কতিপয় সাঙ্গ পাঙ্গদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা দখল – বেদখল করে চলেছে । তিনিই নাকি এই এলাকার হরতাকর্তা। কথায় বলে না, জোর যার মুল্লুক তার,সরকারি জমি তুমি কার? এখানে আইনের কোন বালাই নেই বললেই চলে।
অভিযাোগ উঠেছে, দক্ষিনখানের ৮৬ নং গাওয়াইর মাদ্রাসা রোড কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী মো, তারাজ উদ্দিন (শশুড়) হলো নামধারী (সভাপতি) আর তারই মেয়েই জামাই মো, নুরুল আমিন ভুইয়া হলো ওই সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার বলে জানা গেছে। যার কারনে ওই এলাকা ও সমিতির সদস্যরা তাদের হাতে অনেকটাই জিম্বি হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসিরা অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী বাসিন্দারদের অভিযোগ,
গাওয়াইর এলাকায় বর্তমানে শান্তি নাই, শান্তির বদলে আছে শুধু অশান্তি। মারামারি, হানাহানী,জমি দখল, বেদখল, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, খুন, ডাকাতি, ধর্ষন বিভিন্ন অনিয়ম, অশান্তি, হুমকী ধামকী ভয়ভীতি, দলীয় কোন্দল, পারিবারিক বিরোধ, হিংষা ও টাকা পয়সার দ্বন্দ্ব নিয়ে চলছে নানাবিধ বিরাজমান অপরাধ কর্মকান্ড। তাই তো স্হানীয় বাসিন্দা অনেকের মতে, একটি ভীত ও আতংকের নাম গাওয়াইর।
গতকাল মঙলবার দক্ষিনখানের গাওয়াইর এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন ও বিভিন্ন লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, একটি ভীত ও আতংকের এলাকার নাম হল গাওয়াইর। এই এলাকায় আলহাজ মো, তারাজ উদ্দিন নামে জৈনক ব্যক্তির উন্মান ঘটেছে। তার রয়েছে নিজস্ব একটি শক্তিশালী বাহিনী। তার সহযোগিরা হলো বিএনপি- জামাত শিবির সমর্থিত মোহাম্মদ আলী, মো, হুমায়ুন ও হাবিব গং। এছাড়া তারাজ উদ্দিনের দুই ছেলে (বড় পুএ) আব্দু রহমান ওরফে আব্দুল্লাহ ও ছোট ছেলে রাসেল। তাদের এ সিন্ডিকেট লোকজন নাকি সব কিছু নিয়ন্তন করে বেড়ায়। যদি তাদের কাজে কেউ প্রতিবাদ করে তাহলে তাকে হতে হয় বলির পাঠা। তার উপর নেমে আসে হামলা, মামলা, জিডি ও পুলিশ দিয়ে অহেতুক হয়রানী করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাওয়াইর এলাকার বাসিন্দা ও খোজ নিয়ে জানা যায়,
জানান, হাজী মো, তারাজ উদ্দিনের পিতার নাম মৃত আজিম উদ্দিন ভুইয়া। ৮৬ নং গাওয়াইর, দক্ষিনখান, ঢাকায় তার বসবাস। পারিবারি ভাবে তারা ৪ ভাই ২ বোন। তার রয়েছে গাওয়াইর এলাকায় প্রায় ২০ কাঠা জমির উপর দুইটি পাচ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। মাসিক ভাড়া পান ৪/৫ লাখ টাকা। বাড়ি নির্মাণ করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার এতো টাকার উ? স কোথায়? এছাড়া গাওয়াইর এলাকায় সে প্রায় ২০০/২৫০ পরিবারের নিকট থেকে মাসিক জনপ্রতি কল্যান সমিতির নামে প্রায় ১০০ টাকা হারে ময়লার বিল আদায় করে থাকেন। গাওয়াইর মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং ওয়াকফ সম্পত্তি খাস পুকুর ভরাট করে নামে বেনামে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি জোরপ জবরদখল করে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্টান সহ শাকসবজি আবাদ করে চলেছেন তিনি।
সূএে জানা যায়, জামিয়া ইসলামিয়া গাওয়াইর মাদ্রাসা ১৯৫৩ সালের দিকে প্রতিষ্টা করা হয়। সে সময় কফিল উদ্দিন মুন্সী ছিলেন এই মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রথম মোত্তয়ালী। ত?কালীন সময়ে আলহাজ মো, তারাজ উদ্দিন কফিল উদ্দিন মুন্সীকে মৃত দেখাইয়া তার স্হান জবরদখল করে। ২০০২/২০০৩ সালের দিকে জামিয়া ইসলামিয়া গাওয়াইর মাদ্রাসা- এ নামে ৮/৯ বিঘা জমি ছিল। এখন জমির পরিমান অনেক কমে গেছে। জমি ও খাস পুকুর দখল আর বেদখল হয়ে গেছে। এখন মাএ আড়াই থেকে তিন বিঘা জমি আছে। মাদ্রাসার দক্ষিন পাশে চান্দারটেক আজিমুদ্দীর ভুইয়ার দানকৃত সম্পত্তি বটে। সেই জমি তখনকার দায়িত্বে থাকা মোত্তয়ালী তারাজ উদ্দিন নয়-ছয় দেখিয়ে কৌশলে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় বলে এলাকাবাসিরা অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাওয়াইর মাদ্রাসা রোড এলাকার একাধিক বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী মো কামাল হোসেন ও রাসেল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আলহাজ মো, তারাজ উদ্দিন বিগত প্রায় ১৫/১৬ বছর যাবত জামিয়া ইসলামিয়া গাওয়াইর মাদ্রাসা, এতিমখানার মোত্তয়ালীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ইতিপূর্বে এই মাদ্রাসার জমির উপর একটি পানির পাম্প ছিল। সে সময় ৬ লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল মোত্তয়ালীর। সেখানে সে ৪ লাখ টাকা দেয়। বাকী ২ লাখ টাকা আজো দেয়নি মো, তারাজ উদ্দিন। উক্ত পরিমান টাকা সে পরিশোধ না করে তার পরিবর্তে পানির পাম্পের লাইন জনপ্রতি ৩০/৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিপুল পরিমান টাকা নিজেই আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসিরা জানান, ইসলামিয়া গাওয়াইর মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি হলেন মো বাবুল মিয়া ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল ওয়াহিদ সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Leave a Reply