১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১:১৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দুই ডজন কর্মকর্তা সরাসরি এস আলম গ্রুপের এই নজিরবিহীন অর্থলোপাট এবং পাঁচারে জড়িত বলে তথ্য দিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র। ইসলামী ব্যাংক সহ এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পদগুলোতে কোন রকম আইনের তোয়াক্কা না করেই বসানো হয়েছে এই ২৪ জন কর্মকর্তাকে। কোন ধরণের নূনত্যম যোগ্যতা ছাড়াই কেউ কেউ হয়েছে ব্যাংকের এমডি। এস আলমের জন্য লুটপাট করা এই কর্মকর্তাদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ নয় বরং বটগাছ হয়েছে।
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম চৌধুরি মাসুদের ব্লুআয়েড সেই কর্মকর্তারাও এখন হাজার কোটি টাকার মালিক। পরের টাকায় পোদ্ধারি করা এস আলম গ্রুপের দুর্নীতিতে যাদের হাত দিয়ে রয়েছে, আমরা তাদেরকেও এক্সপোজ করবো। এস আলমের লুটপাটের দোসর সেই দুই ডজন কর্মকর্তাদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজ খবর নিচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা। সেই কর্মকর্তাদের মাঝে একজন আছেন,যিনি দুদকের কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে জমা পড়া সব অভিযোগের ফাইল গায়েব করে দিতেন। পরবর্তীতে সেই কর্মকর্তা অবসের গেলে, তাকে একটি ব্যাংকের উর্ধতন পদে বসানো হয়।
গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে এসআলম গ্রুপের ব্লু আয়েড সেই সব কর্মকর্তাদের নাম এবং অপরাধের তথ্য পেয়েছি আমরা। দেশের টাকা লুটপাটে সরাসরি জড়িত এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মাসুদের রাইট এন্ড লেফট হ্যান্ড সম্পর্কে খানিকটা তুলে ধরা হইলো।
এস আলম গ্রুপের ব্লু আয়েড কর্মকর্তা:
আকিজ চৌধুরী চৌধুরি: ফাস্ট সিকিরিটি ইসলামী ব্যাংকে বাইশ হাজার টাকা বেতনে জুনিয়ার ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা আকিজ উদ্দিন চৌধুরির মূল পরিচয় তিনি এসআলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদের বিশেষ সহকারী। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি ফাস্ট ইসলামী সিকিউরিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান। গোয়েন্দা সূত্র বলছে,প্রায় এক হাজার কোটি টাকার মালিক আকিজের চট্টগ্রামে দুইটি জাহাজ আছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে এক ডজন ফ্ল্যাট প্লট। নিজেও বিদেশে পাঁচার করেছেন কয়েকশো কোটি টাকা। গ্রামের বাড়িতে ১০-১২ কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি বানিয়েছেন। এস আলম কর্ণধার মাসুদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলোতে সিগনেচার করে থাকেন এই আকিজ।
সরকার এবং সংস্থার সাথে যোগাযোগ স্থাপন, ব্যাংকগুলোতে নিয়োগ, এসআলমের নামে থাকা প্রায় পঞ্চাশ হাজার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ এবং এস আলমের টাকা পাঁচারের সাথে জড়িত এই আকিজের বিস্তারিত থাকবে ভিডিও প্রতিবেদনে। আকিজ চৌধুরি গুলশানের রয়েল প্যারাডাইস হোটেলে পারমানেন্ট রুক বুক দিয়ে রাখেন। নিয়মিত মডেল বি গ্রেডের নায়িকাদের নিয়ে একান্ত সময় কাটান। এমন ছবিও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। মাসুদের রাইট হ্যান্ড আকিজকে নজরদারিতে রেখেছে গোয়েন্দা সংস্থা।
মোকাম্মেল হক চৌধুরি: ডিগ্রীতে থার্ডক্লাস মোকাম্মেল হক চৌধুরি একসময় বিনাবেতনে এনজিওতে চাকুরি করতেন। যুবক বয়স থেকে গাঁজা সেবন করা মোকাম্মেল বর্তমানে এস আলমের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি। অথচ, এমডি হওয়া তো দূরের কথা ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার হওয়রা মত নূন্যতম কোন যোগ্যতাই তার নাই। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নিজের ব্যাংক সম্পর্কে দশ লাইন ইংরেজিতে লিখতে পারবে না এই মোকাম্মেল, ইংরেজি পড়তেও পারে না!
মালেয়শিয়ায় সেকেন্ড হোম বানানো মোকাম্মেল এস আলম কর্ণধার মাসুদের বিশেষ ঘনিষ্ট। বিদেশে অর্থপাচারের জন্য এই মোকাম্মেলের বেশ কুখ্যাতি আছে। এস আলম গ্রুপের ৬০ শতাংশ অর্থ এই মোকাম্মেলের মাধ্যমে পাঁচার হয়েছে। মোকাম্মেলের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বলে তথ্য দিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্র। এই মোকাম্মেল এসআলম কর্ণধার মাসুদের লেফট হ্যান্ড। রয়েছে নারীঘটিত কেলেংকারি!
Leave a Reply