১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৭:১৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
দুই স্ত্রীর তথ্য লুকিয়ে এক চিকিৎসককে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে মো. আহসান হাবীব নামে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এমনকি তৃতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে স্বীকৃতি দেননি বলেও অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। শুধু এখানেই শেষ না, এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। অপরাধের কারনে এক বছর তিনি চাকরি থেকেও স্থগিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নোয়াখালিতে কর্মরত রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক।
দুই নং ছবির নিচে লিখে দিতেন ২য় স্ত্রীর সাথে
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ওই প্রকৌশলীর মা চিকিৎসার জন্য পাবনা মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানকার এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়ের সূত্রেই যোগাযোগ থেকে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসককে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় তিনি আগে একটি বিয়ে ও সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন জানিয়ে তালাকের দুটি নোটিশ দেখান। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ২৭ জুন তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। তবে এরমধ্যেই ওই প্রকৌশলীর সন্দেহজনক আচরণ নজরে আসে ওই চিকিৎসকের। এরমধ্যেই তিনি মাঝেমধ্যেই বাসার বাইরে থাকতে শুরু করলে ওই চিকিৎসক জানতে পারেন আহসান হাবীব তার আরেক স্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন। তখনই তিনি জানতে পারেন তার আগেও দুই স্ত্রী রয়েছে। এরমধ্যে একজনের সঙ্গে তালাক হলেও আরেকজনের সঙ্গে তিনি নিয়মিত বসবাস করছেন।
বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুলাই ওই প্রকৌশলীর বাড়ি গেলে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। পরবর্তীতে তিনি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সে সময় ওই নারী চিকিৎসক গর্ভধারণ করলে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকি বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতেও চাপ দেয়। এছাড়াও ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে তিনি ৫০ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেন। এরপর থেকেই তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
গত ২ আগস্ট অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী ওই চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর জেরে ভুক্তভোগী চিকিৎসক প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক বলেন, ’আমি আমার ও আমার সন্তানের স্বীকৃতি চাই। তার প্রতারণার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব এর সাথে বার বার মুঠোফোনে ও ম্যাসেজে যোগাযোগ করার পরেও তিনি কোন জবাব দেননি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং একটি লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না।
Leave a Reply