1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
দুদকের নজরে কি পড়বে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শামীমের অবৈধ সম্পদ - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:৪৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
নিজে দোষ করে বন্ধুকে ফাঁসিয়ে দিলেন উপসচিব সাইফুল যৌথবাহিনীর অভিযান  সত্বেও  বেড়েই চলছে মাদক,জুয়া ও দেহ ব্যবসা টঙ্গীর জাভান হোটেলে মুসলিম ট্যূরস এন্ড ট্রাভেলস এর মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে একহাত নিলেন সারজিস আলম চাকরিচ্যুত মাদরাসা শিক্ষকের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের মুখে মার্কেটিং ম্যানেজারসহ ২২ জনের পদত্যাগ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী পবিত্র’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যায় অর্থ সরবরাহের অভিযোগ! চাকরিচ্যুত মাদরাসা শিক্ষক দলবল নিয়ে এসে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উপর হামলা জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুরের প্রকৌশলী শেখ সোহেল বদলী হলে ও রাজু আছেন বহাল তবিয়তে ১ মাস আগে বদলি হলেও চেয়ার ছাড়ছেন না প্রকৌশলী
দুদকের নজরে কি পড়বে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শামীমের অবৈধ সম্পদ

দুদকের নজরে কি পড়বে সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর এপিএস শামীমের অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) শামীমের দুর্নীতির খবর সকলের জানা।
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি)এর পরিচালক
ইফতেখারুজ্জামান বলেন এধরণের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিক আইন প্রয়োগ করে কেউ দেশ ছাড়ার আগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এক দশক আগে সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় একটি মেসে থেকে টিউশনি করে কোনোরকমে জীবনযাপন করতেন শামীম আহাম্মদ। তিনি ইংরেজিতে পারদর্শী ছিলেন। তাই শিক্ষক হিসাবে সাভারের মানুষের কাছে বেশ সুনাম অর্জন করেন। মানুষ তাকে ‘ইংলিশ টিচার’ হিসাবেই চিনতেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর শামীমকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। গত ১০ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। তার রয়েছে বেলা অ্যাগ্রো পার্ক, বেলা নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান এবং ৭টি মাছ ও গরুর খামার। যার মূল্য অন্তত ২১০ কোটি টাকা। কিভাবে তিনি এত বিপুল সম্পদের মালিক হলেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

একান্ত সচিব হিসাবে শামীম ৩৭ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেতেন। হঠাৎ তিনি এত সম্পদের মালিক বনে গেলেন কী করে? দুদকের নজরে আসা উচিত বলেও জানান সচেতন মহল।

শামীম ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রানীগঞ্জ-পোড়াবাড়ি এলাকার অধ্যাপক মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) ওকুপেশনাল থেরাপিস্ট কোর্স সম্পন্ন করেন। থাকতেন সাভারের থানা রোডের মুক্তির মোড় এলাকার অ্যাভিনিউ জুনায়েদ টাওয়ারের ৬ তলায়। ওই টাওয়ারে তিনি দুটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এর আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে তিনি উত্তরায় কিনে ফ্ল্যাট কিনে বসবাস করতেন।

ময়মনসিংহ ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী, রানীগঞ্জ এলাকায় রানীগঞ্জ চকের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে ‘বেলা অ্যাগ্রো পার্ক’। পুরো এলাকা কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখা হয়েছে।১৪০ বিঘা আবাদি জমি কিনে বিশাল আকারের মৎস্য খামার গড়ে তোলা হয়েছে। গবাদি পশুর খামারও। স্থানীয়রা জানায় ২০১৭/২০১৮ সাল থেকে শামীম নিজ গ্রাম ও পাশের এলাকায় জমি কিনেন। সেখানে মাছের খামার গড়ে তোলা হয়।মাছের ঘের খনন করতেই ব্যয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। খামারে ৫ কোটি টাকার বেশি মূল্যের মাছ রয়েছে। এছাড়া এই অ্যাগ্রো পার্কে আরও দুটি মাছের খামার এবং একটি গরুর খামার রয়েছে। গরুর খামারে দেশি বিদেশি জাতের গরু রয়েছে।

পোড়াবাড়িতে রয়েছে ৮টি সেমিপাকা ঘর ও একটি ৩ তলা ভবন বেলা নার্সিং ইনস্টিটিউট ও নার্সিং কলেজ। ভবনের সামনে রয়েছে বিশাল আকারের দুটি মাছের খামার। খামারের পাশে নার্সিং কলেজের জন্য তিনটি ৬ তলা ভবন রয়েছে । এখানে জমির পরিমাণ ৯০ থেকে ১০০ বিঘা।
বেলা নার্সিং ইনস্টিটিউট ছাড়া আরও ৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং এগুলোর একাধিক শাখা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-বেলা রিহ্যাবিলিটেশন সলিউশন পয়েন্ট, জোসনার আলো ও কাতলাসেন মৎস্য খামার। এরমধ্যে বেলা রিহ্যাবিলিটেশন সলিউশন পয়েন্টের ৩টি শাখা। এগুলো রয়েছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মাসকান্দা নতুন বাজার, ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ও ঢাকার গুলশানে নাভানা টাওয়ারে। জোসনার আলো’র একটি শাখা ময়মনসিংহের মাসকান্দা নতুন বাজারে। এছাড়া ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাতলাসেন এলাকায় প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে একটি মৎস্য খামার ও একটি গরুর খামার রয়েছে।

স্থানীয়রা আরো তার বাবা মফিজ উদ্দিন শিক্ষকতা করে ছেলেমেয়েদের জীবনযাপন করত। তার নগদ টাকা-পয়সা ছিল না।তবে শামীমের বাবা এলাকায় সম্মানিত ব্যক্তির একজন। শামীম গ্রামের অনেক জমি কিনেছে। গ্রামের মানুষ এ নিয়ে নানা রকম কথা বলাবলি করে। শামীম সরকারী লগোযুক্ত দামি গাড়ি নিয়ে গ্রামে আসে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শামীম তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে প্রকল্প পরিচালকদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। এছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ত্রাণ বরাদ্দে কমিশন বাণিজ্য করতেন বলে গুন্জন রয়েছে ।
সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায় সেখানে অনেক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ।

দুদকের একটি সূত্রে জানায় তদন্ত সাক্ষেপে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান বলেন,কেউ ব্যক্তিগতভাবে দূর্নীতির সাথে যুক্ত থাকলে তার দায় ব্যক্তির
এ বিষয়ে সাবেক এপিএস শামিমের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »