1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. mursalin1982@gmail.com : Protiva Prokash : Protiva Prokash
  3. reporting.com.bd@gmail.com : news sb : news sb
  4. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
  5. mahtabur0@gmail.com : Daily Sobuj Bangladsesh : Daily Sobuj Bangladsesh
  6. editorsobujbangladesh@gmail.com : sumona akter : sumona akter
দুদকের পদক্ষেপ কামনা: মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির হরশিত শিকদার এতো টাকা ও সম্পদ কোথায় পেলেন? - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৪:৫৩ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

দুদকের পদক্ষেপ কামনা: মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির হরশিত শিকদার এতো টাকা ও সম্পদ কোথায় পেলেন?

দুদকের পদক্ষেপ কামনা: মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির হরশিত শিকদার এতো টাকা ও সম্পদ কোথায় পেলেন?

 

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির হরশিত শিকদার দু‘নম্বরী বিল ভাউচার তৈরি করে এবং জেলা প্রশাসকের নামে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে কোটিপতি বনে গেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ খুলনা বিভাগীয় কমিশনারসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়েছে। অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, প্রায় একযুগ ধরে মাগুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নাজির পদে চাকুরী করার সুবাদে হরশিত শিকদার মাগুরা জেলায় প্রায় শত বিঘা জমি ক্রয়সহ ২/৩ টি বাড়ীর মালিক হয়েছেন। তিনি খুলনাতে তার শ^শুরবাড়ী এলাকাতেও প্রচুর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। ঢাকাতেও তার একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারীর দায়িত্বে থাকায় জেলার কয়েকজন স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে জাল স্ট্যাম্প ও কোর্টফি‘র কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও ভয়ংকর অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ছাড়া তিনি প্রায় একযুগ ধরে জেলার শতাধিক ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে প্রতিবছর ভাটা প্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা হারে এলএ ফান্ড শিরোনামে চাঁদা আদায় করে আসছেন। অন্যদিকে জেলার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স সংক্রান্ত নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি প্রায়ই জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী,আমদানীকারক,রাখিমাল ব্যবসায়ী, তৈল ব্যবসায়ী, বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলার,হোটেল ব্যবসায়ী ও স্ট্যাম্প ভেন্ডারদের মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাদের লাইসেন্স খেয়ে ফেলাসহ জেলা প্রশাসকের মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন।
অন্যদিকে সরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভুয়া (অতিরিক্ত) বিল করে সেই টাকা তুলে পকেটস্থ করছেন। তার বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডিমাধ্যমে অর্থ পাচার ও সেখানে বাড়ী তৈরি করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। জেলার কালোবাজারী ব্যবসায়ীদের রক্ষাকর্তা হিসাবেও তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন। অফিস সময়ের পর তিনি শহরের বেশ কয়েকটি অভিজাত বাড়ীতে আড্ডা দেন এবং সেখানে পরনারী নিয়ে অসামাজিক কাজ (আমোদ ফুর্তি) করেন বলেও দাবী করা হয়েছে।
সরকারী চাকুরীজীবিদের রাজনীতি করা নিষিদ্ধ হলেও তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে সেই দলের সভা সমাবেশে অংশ নেন এবং প্রায়ই নেতাদের সাথে গোপন মিটিং করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ হলো: তিনি সরকারি মোবাইল কোর্টসহ জেলা প্রশাসনের অনেক গোপনীয় তথ্য বাইরে পাচার করেন। বিনিময়ে দুর্নীতবাজ সিন্ডিকেটের কাছ থেকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা মাসোহারা পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কোন কর্মচারি নিয়োগ হলেই তিনি ঘুস লেনদেনের মুখ্য ভুমিকা পালন করেন।
তার ছত্রছায়ায় মাগুরা শহরের বেশ কিছু এলাকায় আবাসিক ভবনে অবৈধ মাদক ও নারী দেহ ব্যবসা ও জুয়ার আসর পরিচালিত হচ্ছে মর্মে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন,তাকে অন্য জেলায় বদলী এবং দুদকের মাধ্যমে তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার জোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বললে নাজির হরশিত শিকদার বলেন, আমি কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। আমার কোন অবৈধ সম্পদও নেই। ভারতেও আমার কোন বাড়ী নেই। দাপ্তরিক কাজের স্বার্থেই জেলার ব্যবসায়ীদের সাথে তার সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করতে হয় বলে তিনি দাবী করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »