১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৩:৪৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
অবৈধ পথে ৫শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন:
স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক) এর উপ-পরিচালক মাহবুব আলম এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম- দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ রয়ে়ছে, সোনালী ব্যাংক মহাখালী ব্রাঞ্চের কয়েকটি লকারে তার ৩০-৪০ কোটি টাকা, স্বর্ন জমা আছে মাহবুবের। জামালপুরের সরিষাবাডী়তে রয়ে়ছে শতশত বিঘা জমি । ওই এলাকায়় মাহবুব ছাড়া কেউ কোন জমি ক্রয়- বিক্রয় করতে পারেনা। এলাকায় প্রচলিত দুদকের চেয়ারম্যানের চেয়েও ক্ষমতা বেশি মাহবুবের।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, আইডিয়াল স্কুলের সাবেক অধ্যাক্ষ সাহানা বেগম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকের কাছ থেকে ৪-৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উপ পরিচালক মাহবুব । তাদের বিরুদ্ধে ৪-৫ বছর যাবত শুধু তদন্তের নামে দায় মুক্তির নামে এই টাকা হাতিয়ে নেয় চতুর মাহবুব। এসেনশিয়াল ড্রাগের এমডি অধ্যাপক এহসানুল কবিরের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। এসেনশিয়াল ড্রাগের এমডির পিএস মনিরের সহযোগিতায় ৫০ জন লোক নিয়োগ দিয়ে ৫ কোটি টাকা আয় করেছেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁর ফান্ড কালেক্টর মোহাম্মদ আনোয়ার শিকদরের বিরুদ্ধে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের দুনীতির অভিযোগ তদন্তে জামালপুরের জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে বিরাট অংকের টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।মাহাবুব দুদুকে প্রথমে চাকরি শুরু করেছিলেন ষ্টেনোগ্রাফার হিসেবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন অনিয়ম- দুর্নীতির মাধ্যমে তার মামাকে কাজে লাগিয়ে উপপরিচালক পদে প্রমোশন নিয়েছেন বলে জানা যায়।
চাকুরী জীবনে শুরু থোকে এখন পযর্ন্ত দুূুদক প্রধান কার্যালয় বাইরে বেশিদিন চাকুরী করতে হয়নি দুর্নীতিবাজ মাহবুবকে । উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংকের টাকা দিয়ে বড় বড় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই নিয়োগ পেতে টাকা লগ্নি করেন মাহবুব। তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার পর ঐ সকল ব্যাক্তিদের হয়রানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তিনি সিলেটে সহকারী পরিচালক থাকাকালে সিলেট মেডিকেল কলেজ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি মামলা তদন্তকালে ৩ কোটি টাকা ঘুস নেন বলে অভিযোগ আছে।
মাহবুবের স্ত্রী ও মায়ের নামে গুলশান, জোয়ার শাহারা, বসুন্ধরা আবাসিক, ডেমরা এলাকায় দেড়শ কোটি টাকার জমি সন্ধান পাওয়া গেছে।
ঢাকার নন্দীপাড়ায় রয়েছে তিন বিঘার উপর বিশাল বাগান বাড়ী। যেখানে তিনি হেরেমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেখানে রাতভর চলে তার রঙলীলা। আশুলিয়ায় গনকবাড়ী এলাকায় তার বিশাল সম্পত্তি। দেশের বাড়ীতে আছে বিশাল পোল্ট্রি ফার্ম ও মাছেন ঘের। তিনি বিদেশেও প্রচুর টাকা পাচার করেছেন। তার জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এই মাহবুব রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম ব্যবহার করে ও তার প্রভাব দেখিয়ে ইতিপূর্বে অনেক অপকর্ম ধামাচাপ দিয়েছেন।
এ সব অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চেয়ে তার হোযয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে বার্তা দেয়়া হলেও তিনি কোন জবাব দেননি। ( চলবে)
Leave a Reply