৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৫:৪৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা মহানগর পূর্ব মানিকনগর এলাকায় সুলতানা ভিলা নান্টু মিয়ার বাড়ি ভাড়াটিয়া হাজী ফজলুর রহমান বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত যেমন ২ নাম্বার পাসপোর্ট ব্যবসা করে মা লাকি আক্তার অনলাইনে বিজনেস করে যাকে বলা হয় দেহ ব্যবসা তারই দ্বিতীয় সন্তান আমিন ইসলাম ইভেন তিন বছর আগে বিয়ে করেছেন সে ঘরে একটা ছেলে সন্তান রয়েছে স্ত্রীর সাথে সন্তানের পরিচয় অস্বীকার করে স্ত্রীর চরিত্র ভালো না ছিল বলে অন্যের সন্তান তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে কথা বলে স্ত্রীকে মারধর করত বলতো কার সন্তান আমার ঘাড়ে চাপিয়েছিস এটা আমার সন্তান না স্ত্রীকে অত্যাচার করত স্ত্রীর সহ্য করতে না পেরে সন্তান নিয়ে চলে যায়। তারপর শুরু হয়। ইভেনের নিজের কর্মকাণ্ড মেয়েদের পিক দিয়ে আইডি খুলে প্রবাসী ছেলেদের আর ব্যবসায়ী ছেলেদের টার্গেট করে অনিকা ইসলাম নাম দিয়ে একটা আইডি খুলে এড হয়ে প্রবাসী এক ছেলে নাম রাকিব দিনের পর দিন ছেলে হয়ে মেয়েদের কন্ঠে কথা বলে ছেলের কাছ থেকে হাতি নিয়েছে ২৫ হাজার টাকা দিনের পর দিন ছেলের সাথে মেয়ে কন্ঠে কথা বলতো ছেলেকে ইমপ্রেস করত ছেলেটার কাছ এই সমস্যা সেই সমস্যা বলতো টাকা নেওয়ার জন্য। রাকিব ছেলেটা কিছু একটা বুঝতে পেরেছে এটা মেয়ে না ছেলে হবে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিছে তখন তাকে ব্লক করে দিছে। নিজের রিয়েল আইডি নাম। Even wick.দিয়ে। ফেসবুকে মেয়েদের সাথে এড করে ভালো ভালো মেয়েদের যারা ভালো চাকরি করে তাদের সাথে শুরু করে বন্ধুত্ব তার এলাকার মেয়েদের সাথে। ভদ্র ভালো আচরণ করে যাতে মেয়েরা তার প্রেমে পড়ে কেউ যদি । জিজ্ঞাসা করে আপনি কি করেন বলে আমি ব্লাড ফাউন্ডেশনে জড়িত আছি আপনাদের ব্লাড প্রয়োজন হলে আমাকে বলবেন। রুমা নামের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ও তার কাছ থেকে তাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে পঁচিশ হাজার টাকা। হাতিয়ে নেয় এভাবেই চলে তার বাটপারি। তার পরের মেয়ে ছিল নিসি ইভেনের দুই সম্পর্কে চাচতো বোন। তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার রুমে নিয়ে তাকে শারীরিক সম্পর্ক করে করেছে তার কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ব্ল্যাকমেইল করে ১৮০০০ টাকা। এভাবে চলে তার দিন কাল তারপরের শিকার ছিল পিয়াসা নামের এক মেয়ে ভালো চাকরি মেয়ের সাথে পরিচয় ব্লাড নিয়ে মেয়েটার ব্লাডের খুব প্রয়োজন ছিল একটা ছেলে ইভেনের নাম্বার দেয় ফোন করে বলে আমার ইমারজেন্সি রক্তের প্রয়োজন আপনি কি রক্তের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন ইভেন্ বলে হ্যাঁ পারব। এভাবে পিয়াসার সাথে পরিচয় হয় পিয়াসের সাথে এড হয় ফোন নাম্বার নেয় কথা চালিয়ে যায় পিয়াশা বলে ছেলেটা হেল্প করছে তাই ছেলেটার সাথে কথা বলে কিছুদিন চলে গেলে পিয়াসা কে নিয়ে ছেলেটার বাসায় যায় মা বাবা বোনের সাথে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। একদিন পিয়াশার বাসায় ইভেনে যেয়ে দেখে পিয়াসা কোরআন শরীফ পড়ে তখন ছেলেটা মাথায় নিয়ে বলে পিয়াসা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না কোরআন শরীফ ছুঁয়ে বলছি আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। মেয়েটা এসব কথা সুনে রাজি হয় দিনের পর দিন পিয়াশার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। তাকে তার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের মতই বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে নির্যাতন করে বের হয়ে যায় ইভেনের আসল চেহারা। মেয়েটাকে কিছু পিক দিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু হয় বিয়ে করার কথা বললে নানা তালবাহানা দেখায় এসব কথা বুঝতে পেরে মেয়েটার ইভেনের মা-বাবাকে সব কথা খুলে বলে কিন্তু তার বাবা-মা কিছুই বলে না মেয়েটাকে অপমান করে বের করে দেয়। এভাবেই কেটে যায় কিছু দিন পিয়াসার এর কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা নিয়ে পিয়াশা কে ব্লক করে দেয় প্রিয়াসার সাথে আর যোগাযোগ করে না। শুরু হয় আবার নতুন মেয়ের সঙ্গে প্রেম টাঙ্গাইলের মেয়ে সুপ্তি তার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার সাথে সারা রাত জেগে কথা বলা হয় ফেসবুকে ইমুতে মেয়েটাকে ইমপ্রেস করে নানান ধরনের কথা বলে সমস্যা দেখিয়ে মেয়েটার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেই ইভেন বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমি চলে আসো আমার কাছে। সুপ্তি মেয়েটা টাঙ্গাইল থেকে ইভেনের বাসায় চলে আসে ইভেন মনে করছে আসলে তো তার কাছে টাকা পয়সা স্বর্ণ অলংকার থাকবে এগুলো রেখে ওকে বের করে দিব এখন দেখে কিছুই আনেনি তাকে দিন রাত রেখে শারীরিক সম্পর্ক করে মারধর করে ভয় দেখিয়ে মেয়েটাকে পাঠিয়ে দেয় টাঙ্গাইলে এসব ইভেনের মা-বাবা দেখেও কিছু বলেনি। পিয়াশা যখন এসব জানতে পারে তখন মুগদা থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ সত্যিটা তদন্ত করে ইভেন্টকে এরেস্ট করে এবং তিন মাস জেল খেটে বের হয়ে পিয়াসাকে দেয় হুমকি ধমকি দেয় তিন বার হুমকি দিয়েছে এবং তার অফিসে সামনে গিয়ে প্রিয়াশা ও তার বস কে হুমকি দেয় মামলা তুলে না নিলে অনেক বড় ক্ষতি করে দিব এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় দ্রুত দরকার। নয়তো এদের মত ছেলেদের কারণে হাজারো মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।
Leave a Reply