১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১১:৩৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম ১৪(চন্দনাইশ সাতকানিয়া আংশিক) আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্টের মনোনিত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী স উ ম আবদুস সামাদ দোহাজারী পৌরসভার একটি রেস্তোরাঁয় আজ বিকালে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এরা বিগত দিনগুলোতে রুটিনমাফিক উন্নয়ন ছাড়া এলাকায় প্রতিনিধি হয়ে উন্নয়নমূলক কোনো কাজ করেননি এবং সংসদে উন্নয়নমূলক কোন প্রস্তাবনাও রাখেননি। রাখেনি দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল ও সরকারি কারিগরি কলেজের প্রস্তাব। শুধু রুটিন ওয়ার্ক করেছেন মাত্র। এ সময় দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে, উত্তেজিত হয়ে উদ্যোক্তপূর্ণ আচরণ করায় সাংবাদিক মহলে তাৎক্ষণিক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকের প্রশ্নে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রতিনিধিদের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মাঠে তেমন একটা দেখা যায় না। এছাড়া এই ধরনের ছোট দলগুলো সরকারের নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য এবং সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন কি না, প্রশ্ন করা হলে তেলে বেগুনে এক হয়ে উঠলেন স উ ম আবদুস সামাদ। এক পর্যায়ে তিনি বলে উঠলেন, আপনি জেগে থেকে ঘুমান না কি? আপনার মাথায় সমস্যা আছে, আপনি ডাক্তার দেখান। ঐ মূহুর্তে উনার এই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি ও উপজেলার সাবেক তিনবারের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার চৌধুরী সম্পর্কে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে ওয়ান সিটি টু টাউনে রুপান্তর করবেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দক্ষিণ চট্টগ্রামে কোন উন্নয়ন হয়নি। সম্প্রতি উদ্বোধনকৃত টানেলের সমালোচনা করে বলেন, বৈদেশিক ঋণে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দক্ষিণ চট্টগ্রাম বাসীর কোনো উপকারে আসছে না। দক্ষিণ চট্টগ্রামের উন্নয়ন অন্ধকারে তলিয়ে আছে, কয়েকটি গাড়ি চলাচল ও বিমানবন্দরের কিছু যাত্রী চলাচল করা ছাড়া তেমন একটা কাজে আসছে না টানেলটি। নির্বাচন প্রসঙ্গে উনি তত্তাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করে বলেন, তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নয় বরং নির্বাচন কমিশনারের অধীনে সুস্থ ও অবাধ নির্বাচন চাই। তিনি আরো বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশনকে সর্ব ক্ষমতা দেওয়া উচিত ছিলো প্রধানমন্ত্রীর। ২৯ই জানুয়ারী ২০২৪ এর মধ্যে যথাসময়ে নির্বাচন করা না হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনসহ দেশের সার্বিক অবস্থান বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, তাই আমরা অর্থাৎ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল , যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আব্দুর রহিম,রেজাউল করিম তালুকদার, অধ্যাপক আব্দুর নুর, কেন্দ্রীয় সহ-প্রকাশনা সচিব মুহাম্মদ নুরুল্লাহ রায়হান খান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব ফয়েজ উল্লাহ খতিবি,ইসলামী ফ্রন্ট নেতা মুখতার আহমদ শিবলি, ডা. কলিম উদ্দিন, মাওলানা মাসুম রেজভি, আজিজুর রহমান, এডভোকেট মুজাম্মেল হক তালুকদার, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, এম এ মতিন,আবু তালেব মঈনি,আখতার কামাল, যুবনেতা উপাধ্যক্ষ মামুন উদ্দিন সিদ্দিকি, সংগঠক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, নুরুল ইসলাম হিরু, মুহাম্মদ শরাফত আলি,ছাত্রসেনার সাবেক সভাপতি মারুফ রেজা,যুবনেতা আব্দুল মুবিন,ছাত্রনেতা সেকান্দর আলম, আনোয়ার হোসাইন, আরমান হোসাইন প্রমূখ।
Leave a Reply