৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:৩১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
পঞ্চগড় পতিনিধি :
নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও বোদা সড়কের অবৈধ ভাবে দুটি মেহগনী গাছ কাটলেন জেলা পরিষদ। এ নিয়ে সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে এই দুটি গাছ নিয়ে জেলা পরিষদ ও এলজিইডির মধ্যে মত বিরোধ রয়েছে। দু পক্ষেই নিজেদের দাবী করেন। এলজিইডির দাবী ভিত্তিহীন দাবী করেন জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী।
সরেজমিনে জানা যায়,রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা রক্ষার্থে মূছা আলী নামের এক ব্যক্তি গত ২৬ জুলাই/২২ তারিখে বোদা পৌরসভার মেয়র,কাউন্সিলর ও বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সুপারিশ নিয়ে জেলা পরিষদ প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ গত ১৬-১০ ২০২২ এক আদেশে প্রয়োজনীয়ও উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেন। সেই আলোকে গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে জেলা পরিষদ গাছ দুটি কর্তন করেন।
গাছ কর্তন করার পরে উপস্থিত জনতা তা আটকিয়ে রাখেন। পরে স্থানীয় জনতাকে নিয়মের বাইরে থাকা একটি সুপারিশপত্র দিয়ে সেই গাছ গুলো নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা,ছবুল,মামুন ও প্রদীপ জানান, আমরা গাছের ডাল কাটলে অনেক ঝুট ঝামেলা পড়তে হয়। অথচ সরকারী মানুষ হয়ে এক ব্যক্তিকে সুবিধা দিতে গিয়ে এই অবৈধ কাজটি করেন জেলা পরিষদ। তাঁরা আরো বলেন,রক্ষক যখন ভক্ষক হয়। তখন আর কি হবে এই আইন দিয়ে। এছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর উক্ত ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এমন সুপারিশ করেন।
সুবিধাভোগী ব্যক্তি মুছা আলী জানান,আমি আবেদন করি। তারা কিসের বলে এটি কাটলেন তা আমার জানা নেই। তবে বাড়ির সিমানা ও ঘরের বিষয় নিয়ে তিনি কোন কথা না বলে সাংবাদিদের উপর চড়াও হন।
বোদা পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট মো. ওয়াহিদুজ্জামান সুজা জানান,স্থানীয় এক ব্যক্তি গাছ দুটির কর্তনের জন্য কাউন্সিলর শাহজাহান সিরাজ ও বলরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের সুপারিশ নিয়ে আমার নিকট আসলে তাদেঁর সুপারিশের প্রেক্ষিতে আমিও সেখানে সুপারিশ করি। তবে গাছ কাটার বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। এটি জেলা পরিষদের বিষয়।
কাউন্সিলর শাহাজাহান সিরাজ জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ঠিক না। আমি মানবিক কারনে বিষয়টি সুপারিশ করি। আর গাছ কাটার বিষয়টির অনুমতি আমি দিতে পারি না। সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিষয়।
বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন জানান,স্থানটি পৌর সভায় হওয়ায় সেখানে মেয়র ও কাউন্সিলর সুপারিশ দিলে সেই আবেদনে আমিও স্বাক্ষর করি।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী(ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ সানিউল কাদের জানান, গাছ গুলো আমাদের। আমি সবে মাত্র এসেছি। এভাবে কাটা হলেও পরবর্তীতে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হবে। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশের প্রেক্ষিতে আমি গাছ গুলো কর্তন করি।
Leave a Reply