১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৩:৪১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
ডাঃ কে এম জুবায়ের গালিবের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বর্তমানে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কে এম জুবায়ের গালিব স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে,টেন্ডার বাজি,পদবী দখল, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎসহ বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য মতে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগের আস্থা ভাজন সাবেক জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাট ২ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারিদের মধ্যে অন্যতম একজন ডাঃ কে এম জুবায়ের গালিব। সাবেক হুইপ স্বপনের মাধ্যমে জয়পুরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাস্তবে তিনি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালক কর্তৃক কোন আর্থিক ক্ষমতা ( আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা) না নিয়ে শুধুমাত্র তার পূর্ববর্তী উপ-পরিচালকের নিকট হতে আর্টিকেল- ৪৭ মূলে দায়িত্ব গ্রহণ করে ২০১৬ সাল থেকে ২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপ- পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন, যা বিধি সম্মত নয়। বিএম, জয়পুরহাটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজে হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিক। স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে টেন্ডারবাজি, নিজের পছন্দ মতো ডাক্তার নিযুক্ত করা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বদলি করার হুমকি, জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালকে নিজ ব্যবসার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা, হুইপ স্বপনের পছন্দের লোককে টেন্ডার পাইয়ে দেয়া, নিজে ক্লিনিকের ব্যবসা করা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিক অর্থের বিনিময়ে ৩৭ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৭ জন আয়া ও ১ জন পরিবার পরিকল্পনা অফিসে নিয়োগ দেন ২০২২ সালে। এদের ভিতর থেকে ১২ জনকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর প্রদান করে নির্বাচিত করা হয়েছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, যার নিজেরই কোন বৈধতা নেই, সে লোক নিয়োগ দেন কিভাবে?
বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মন্তব্য জানতে ডাঃ এ কে এম জুবায়ের গালিবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ফোন না ধরার কারণে (চলবে)
Leave a Reply