১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:৫৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মোঃ হাসানুজ্জামান:
পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ে এমনিতেই মানুষের হয়রানির অভিযোগের অন্ত নেই। তার উপরে যদি নির্ধারিত বিলের চেয়ে বেশি বিল নিয়ে আসে তাহলে সেটি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়।
নরসিংদির শিবপুরে পল্লী বিদ্যুত নিয়ে এমন এক নেক্কারজনক ঘটনাই ঘটেছে। যা নিয়ে শিবপুর উপজেলার আয়ুবপুর ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের গ্রাহকেরা রীতিমতো চরম ক্ষিপ্ত। পকেট ফাঁকা করা গলাকাটা বিল নিয়ে আসায় মাঠকর্মী নূরে আলম কে আজ শনিবার (১ জুন) আটক করে গ্রামবাসী।
জানা যায়, কোন কোন গ্রাহকের এপ্রিল-মে মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকলেও ৭০-৮০ ইউনিট বেশি লেখা হয়েছে মার্চ মাসের তুলনায়। বেশি ইউনিট লেখা দেখানোর কারণে বিগত মাসের তুলনায় এই দুই মাসে অনেকের বিল দ্বিগুণের চেয়ে বেশী হয়ে গেছে।
আবু বক্কর মৃধা নামের এক গ্রাহকের মার্চে ইউনিট ছিল ১১৫ এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১৭০এবং মে মাসের সেটি ১৮৫ ইউনিট দেখানো হয়েছে।দুই মাসের মধ্যে ইউনিট ব্যবধান হয়েছে ৭০।
মো: আজিজ মিয়া নামের এক গ্রাহকের মার্চে ইউনিট ছিল ৫০ এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ৯০এবং মে মাসে সেটি ১৩৫ দেখানো হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে ইউনিট ব্যবধান হয়েছে ৮৫।
মূলত নোয়াদিয়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই সহজ-সরল ও গরিব মানুষ।তাদের মধ্যে রয়েছে দিনমজুর, কৃষক, রিক্সাচালক, ছোটখাটো পান দোকানদার। দুই মাসের এই বিদ্যুৎ বিল দেখে তাদের মাথা বেজায় গরম। সীমিত আয়ের মানুষগুলির অতিরিক্ত বিল দেওয়ার সাধ্য নেই।রাগান্বিত হয়ে তারা আটক করেন নূর আলমকে। নূরে আলম স্বীকার করেন উপর মহলের নির্দেশেই তিনি বিল বেশি নিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে মোবাইলে কথা হয় শিবপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের সাথে।তিনি জানান সেটা ভুল হয়েছে।অফিস থেকে সংশোধন করে দিবেন।
কিন্তু গ্রাহক মনে প্রশ্ন বিদ্যুৎ কম ব্যবহার করলেও বিল কিভাবে বেশি হয়! উপর মহলের ইশারায় কিভাবে ইউনিট বেশি লেখা হয়!মানুষের এই গলাকাটা কবে বন্ধ করবে পল্লী বিদ্যুৎ !
Leave a Reply