১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:০৭ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত ১৪.১০.২০২৪ ইংরেজি তারিখে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার কৃষকলীগ নেতা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় চাদাবাজির মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সাবেক এমপি পুত্র সাদ্দাম এবং সায়েম সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামি করা হয়েছে। সাদ্দাম কিশোরগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। সাদ্দামের পিতা জনাব কবির উদ্দিন আহম্মেদ (বীর মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানি কমান্ডার, সাবেক সংসদ সদস্য কিশোরগঞ্জ-৩)
১৬.১০.২০২৪ ইং তারিখে হোটেল শেরাটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।সেখানে তিনি বলেন বিগত ১৮ বছর যাবত আমার পরিবার জাতীয় পার্টির এমপি মজিবুল হক চুন্নু দ্বারা মারাত্তকভাবে আর্থিক,সামাজিক,রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। এখন এই সময়ে এসেও আমার পরিবার মজিবুল হক চুন্নু ও তার কতিপয় এজেন্ট দ্বারা নির্যাতনের শিকার হবে?! এই সময়ে এসেও তার এত ক্ষমতার উৎস কি? তার এজেন্ট কারা?
এই ব্যাপারে মামলার আরেক আসামি সাদ্দামের বড় ভাই তাওসিফ কবির সায়েমের সাথে কথা বললে তিনি আমাদের বলেন, তিনি অন্তত ২৫/২৬ বছর যাবত নৌকার ব্যাবসার সাথে জড়িত। ২০০৯-২০১৩ সালের মধ্যে ৮টি নৌকার অর্ধেক মালিকানা ক্রয় করে স্বাভাবিকভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। বিগত ২০১৬ সালে এসে তারা স্থানীয় প্রভাবশালী এমপি ও মজিবুল হক চুন্নুর প্রভাব খাটিয়ে আমাদের নৌকাগুলো জোর পূর্বক দখল করে নেয় এবং নৌকার টাকা আত্মসাৎ করে।
পট পরিবর্তনের পর আমরা স্থানীয় দরবারিদের সহায়তায় আমাদের নৌকা ও পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করি এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৯.০৯.২০২৪ ইংরেজি তারিখে একটি মামলা দায়ের করি যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা মজিবুল হক চুন্নু ও তার দোসরদের সহায়তায় উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা দায়ের করে আমার ভাইকে গ্রেফতার করায়। সাদ্দামের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ভিপি সুমন ছিলেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি,কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক, বিপুল ভোটে নির্বাচিত করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
এলাকার বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন মূলত মজিবুল হক চুন্নু ভিপি সুমনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরন করে আসছে সবসময়। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে বারবার।একবার রাতের আধারে বাসায় ঢুকে গুলি করলে গুলি বিদ্ধ হয় তার ছোট ভাই মাসরুর আহম্মেদ রুমন, তার কিছুদিন পর আবারও ভিপি সুমন এর উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করা হয় এবং তখন ৭টি বুলেট বিদ্ধ হওয়ার পরও অলৌকিক ভাবে সে বেচে যায়। আর এসবই হয়েছে চুন্নুর মদদে। বর্তমান পরিস্থিতিতেও মজিবুল হক চুন্নু থেমে নেই। সে তার এজেন্টদের মাধ্যমে হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে ভিপি সুমন কে ধ্বংস করতে চাচ্ছে এবং এই চাদাবাজির মামলা মূলত এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
Leave a Reply