১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১২:৫৯ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে ছাত্রদের উপর হামলাকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যুবলীগ নেতা নুর মোস্তফা টিনু আত্মগোপনে যাওয়ার পর তাঁর অবৈধ সাম্রাজ্য ঠিকিয়ে রাখতে মাঠে নেমেছে তাঁর আপন সহোদর নুরুল আলম শিপু। তিনি যুবদলের নাম ব্যবহার করে চকবাজার থানা এলাকার মাইকিং করায় অস্বস্থিতে পড়েছেন অত্যাচারের শিকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দররা।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে চট্টগ্রামের চকবাজার, জামালখান, বহদ্দরহাট, পাঁচলাইশ এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ছিল নূর মোস্তাফা টিনু। চাঁদাবাজি, দখলসহ হেন কাজ নেই তিনি করতেন না। সরকার পতনের পর সে আত্মগোপনে গেলে স্বস্তি নামে ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজনের মনে।
চকবাজার এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, চকবাজার থানা এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ ব্যবসা, অবৈধ যানবাহন চলাচল, মদ-জুয়ার আসর, কোচিং সেন্টার ও অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ২০ লাখ টাকারও বেশি চাঁদাবাজি হয়। পুরো চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতো শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর মোস্তাফা টিনুর অনুসারীরা। এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই তাকে চাঁদার দিতে হতো না। গত তিন বছর আগে র্যাবের সদস্যরা টিনুকে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিনে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়ে। তাঁর অত্যাচারে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসীন কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের পতন হলে টিনু গ্রেফতার এডাতে গা ঢাকা দেয়। এরপর তার আপন ছোট ভাই যুবদল নেতা নুরুল আলম শিপু বড় ভাইয়ের চাঁদার সাম্রাজ্য দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, নূরুল আলম শিপু এক ব্যবসায়ীর ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত কয়েক বছর আগে গ্রেফতার হয়েছিল। পুলিশ সিসিটিভি দেখে তাকে শনাক্ত করেছিল এবং তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। শিপুর নামে চকবাজার,পাঁচলাইশ ও কোতোয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিপু ও টিনু দুই সহোদরের কাছে দীর্ঘদিন ধরে চকবাজার এলাকায় জিন্মি হয়ে আছে। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে টিনু ও বিএনপির সমর্থিত সরকার আমলে শিপু পুরো এলাকার মানুষের ভালোমন্দ নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করলে তাদের উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ।
Leave a Reply