২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ২:১৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
রায়হান হোসাইন, চট্টগ্রামঃ-সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু ব্যক্তি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কে। প্যাডেল চালিত রিকশার চেয়ে এর গতি বেশি হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। নগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ থেকে অভিযান চলমান থাকলেও তা কমানো যাচ্ছে না।
জানা গেছে, প্রতিটি ব্যাটারি রিকশার চালক থেকে দৈনিক ১৪০ টাকা চাঁদা তোলা হয়, যার মধ্যে ১০ টাকা গ্যারেজ ভাড়া, অর্থাৎ ১৩০ টাকা মূল চাঁদা। তাহলে ৬০০ টি ব্যাটারি রিকশা থেকে দৈনিক আদায় হয় ৭৮ হাজার টাকা। প্রতি মাসে প্রায় ২৩ লক্ষ ৪০ হাজারটাকাও বেশি এবং বছরে দাঁড়ায় প্রায় ২ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এই সব টাকা প্রশাসন থেকে শুরু করে, এলাকার নেতা, এবং বিভিন্ন মহলে গিয়ে ভাগভাটোয়ারা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ, অধিকাংশ অটোরিকশা চলাচ্ছে শিশু-কিশোর এবং অন্য পেশা থেকে আসা শ্রমিকরা। এসব চালকদের বেপরোয়া ও বিশৃঙ্খলা অটোরিকশা চালনার কারণে প্রতিনিয়তই ঘটেছে দুর্ঘটনা। এতে নগরবাসী রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
তাছাড়া এসব যানে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। বিশেষ করে এলাকা ভিত্তিক এলাকা গুলোতে বেশ কয়েকটি ব্যাটারি চালিত রিকশার গ্যারেজ রয়েছে। ওইসব গ্যারেজে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ওই রিকশার ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু অটোরিকশা মালিকরা।
প্যাডেল চালিত রিকশা চালকেরা বলেন, প্যাডেল চালিত রিকশা বৈধ হলেও ব্যাটারি রিকশার কারণে আমরা ভাড়া পাচ্ছিনা, এই সব অবৈধ ব্যাটারি রিকশা প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চলছে। শুধু তাই না, প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply