৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:২৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
হেমায়েতপুর,গাবতলী,সায়েদাবাদ,যাত্রাবাড়ী সহ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পোড়া মবিল এর সাথে কেরোসিন ও প্লাস্টিকের পলিমার দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল মবিল , লুব্রিক্যান্ট ও ইঞ্জিন অয়েল । আর এ সকল ভেজাল মবিলের ৯০% বিক্রি হচ্ছে গাড়ির গ্যারেজ ও বাইক সার্ভিসিং দোকানে ।অল্প সময়ে স্বল্প মূলধন বিত্ত বৈভবের বনে যাচ্ছেন প্রতারক চক্র গাড়ির মালিকরাও আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত ।
বাজারে বিভিন্ন কোম্পানী ও বিভিন্ন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। সাধারণত ইঞ্জিন অয়েলকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, একটি হলো মিনেরাল এবং অপরটি হলো সিনথেটিক। মিনেরাল হলো যেটি প্রকৃতিক খনি থেকে আসে। খনির পেট্রলিয়াম জাতীয় পদার্থ থেকে থেকে যে ইঞ্জিন অয়েল আসে তাকে মিনেরাল অয়েল বলে। আর সিনথেটিক হলো কৃত্রিম উপায়ে তৈরি ইঞ্জিন অয়েল। বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করে যে ইঞ্জিন অয়েল তৈরি করা হয় তকে সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল বলে। সকল যানবাহন এর জন্য ইঞ্জিন অয়েল একই না, মটরসাইকেল এর জন্য আলাদা ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হয়, বাস বা কার এর জন্য আলাদা ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হয়।
বর্তমানে সকল মটরসাইকেল গুলো ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন বিশিষ্ট, তাই বাজারে 4T লেখা যেসব ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায় সেগুলো এখনকার মটরসাইকেল এর জন্য ব্যবহার উপযোগী। 4T সম্বলিত ইঞ্জিন অয়েলগুলো ফোর স্ট্রোক সকল ইঞ্জিন এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে , বিভিন্ন গাড়ির গ্যারেজে মবিল বা ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময় পুরাতন অয়েল গ্যারেজ মালিক রেখে দেন যা পরবর্তীতে ভেজাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন ! প্রশ্ন হচ্ছে এই ফেলে দেওয়া মবিল লুব্রিক্যান্ট ও ইঞ্জিন অয়েল কোথায় যায় ? সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে সাভারের হেমায়েতপুর ,, গাবতলী , সায়েদাবাদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন এলাকা যাত্রাবাড়ীর আরাবারি ও কাঠেরপুল এলাকায় কয়েকটি ভেজাল মোবাইল কারখানায় গিয়ে দেখা যায় , রাতের আধারে বড় কনটেইনারে পোড়া মবিল এর সাথে কেরোসিন মিলিয়ে এবং পলিমার যুক্ত করে প্রথমেই মোবাইল তৈরি করেন
, এরপর দোকানদারের চাহিদা অনুযায়ী কনটিনার ও প্যাকেজিং করা হয় চাহিদা অনুযায়ী মবিলে রং পরিবর্তন করা হয় । ভারতীয় মতুল, বাজাজ ও হিরো , Shell , Mobil, Castrol , Havo ইত্যাদি নামে মোড়কীকরণ করে ফিফটি পার্সেন্টে বিভিন্ন গ্রেস ও বাইক ওয়ার্কশপে পৌঁছে দেন ভেজাল সিন্ডিকেট । চতুরতার সাথে সিলভার ফয়েল আয়রন এর মাধ্যমে প্যাকেজিং করা হয় ।
এদিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাংলাদেশের উৎপাদিত ভেজাল মবিলের 30% কনটিনার বিভিন্ন কারখানায় প্রশাসনের নাকের ডগায় তৈরি হচ্ছে ! মনে হচ্ছে অরক্ষিত কামরাঙ্গীচরের সুরক্ষিত ভেজাল ব্যবসায়ীরা ।
একশন মবিল , লুব্রিক্যান্ট ও ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়ঃ
কিছু চালকেরা মনে করেন ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করলেই বাইকের মাইলেজ ঠিক থাকবে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে নকল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের কারণেও মাইলেজ কমে যায়। আপনার ইঞ্জিনটি হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল অথবা ইঞ্জিন থেকে প্রায়ই আওয়াজ আসছে, বা বাইক গতি ভাল দিচ্ছে না, এসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ইঞ্জিন অয়েলে ভেজাল রয়েছে।
সুতরাং, বুঝতেই পারছেন, আপনার বাইকের ইঞ্জিন ভাল রাখতে ইঞ্জিন অয়েলের গুরুত্ব কত বেশি। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভিন্ন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। তবে আসল পণ্যের মধ্যে নানা রকম ভেজাল ডিজেল বা অক্টেন তেলও মিশে আছে।
অতএব, আমরা অজান্তেই যেন নকল পণ্য ব্যবহার করে না বসি এ ব্যাপারে কড়া নজর দিতে হবে। নকল ইঞ্জিন অয়েল যতটা গাড়ির ক্ষতি করে ততটা গাড়ির পারফরম্যান্সেরও ব্যাঘাত ঘটায়।
তাই, ইঞ্জিন অয়েল গ্রেডিং সম্পর্কে প্রতিটি রাইডারকে সঠিক শিক্ষা নিতে হবে। কেননা কোন গ্রেডের তেল আপনার ইঞ্জিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে আর কোনটি নষ্ট করবে তা জানা আপনার দায়িত্ব!
মোবাইল ক্রয় করার পর ★গন্ধ চেক করুন ★রং পরীক্ষা করুন ★গাত পরীক্ষা করুন ★গিয়ার শিফটিং হার্ড হয় কিনা খেয়াল করুন ★ইঞ্জিন পারফর্মেন্স নষ্ট হয় কিনা দেখুন ★সাউন্ড উঠানামা করে কিনা ★হিটিং ইস্যু পরিবর্তন হবে না ★পিকআপ পরিবর্তন হবে না কিন্তু ভেজাল মুভির হলে পিকআপ অবশ্যই পরিবর্তন হবে ।
Leave a Reply